হোম > বিশ্ব > এশিয়া

ফের গ্রেপ্তার হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

জরুরি ক্ষমতা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল। ছবি: এএফপি

আবারও গ্রেপ্তার হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। সিউলের একটি আদালত তাঁর বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর আজ বৃহস্পতিবার ফের গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে রাজধানী সিউলের একটি ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি রয়েছেন ইওল। এর আগেও এই ডিটেনশন সেন্টারেই ৫২দিন বন্দি ছিলেন তিনি। চার মাসে আগে কৌশলগত কারণে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। আদালত জানিয়েছে, নিজের অপরাধের প্রমাণ ধ্বংস করে দিতে পারেন ইওল। তাই নতুন করে আবার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে গ্রেপ্তার করা হল তাকে।

গত ডিসেম্বরে বিতর্কিতভাবে সামরিক শাসন জারি করায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিচারাধীন রয়েছেন ইউন সুক ইওল।

সর্বশেষ গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় উল্লেখ করা হয়েছে, প্রসিকিউটররা ইউনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অভিযোগসহ আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগপত্র দাখিলের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আপাতত তাঁকে ২০ দিন পর্যন্ত আটক রাখা যাবে। গতকাল বুধবার গ্রেপ্তারি শুনানিতে ইউনের আইনজীবীরা এই পদক্ষেপকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছেন। তারা বলেন, ‘ইউন এখন ক্ষমতায় নেই, তাঁর হাতে কোনো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাও নেই। তারপরও এই পদক্ষেপ অর্থহীন।’ সাত ঘণ্টাব্যাপী ওই শুনানিতে সাবেক প্রেসিডেন্ট নিজেও বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘এই লড়াইয়ে এখন আমি একদম একা।’

তবে, গতকাল আজ বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে চলমান বিদ্রোহ মামলার দশম শুনানিতে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। তাঁর আইনজীবীরা শুনানির ঠিক আগে আদালতে লিখিতভাবে জানান যে স্বাস্থ্যগত কারণে ইউন শুনানিতে হাজির থাকতে পারছেন না। যদিও তাঁর আইনজীবীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিদ্রোহের অভিযোগে দোষী প্রমাণিত হলে ইউনের সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে আমৃত্যু কারাদণ্ড অথবা মৃত্যুদণ্ড।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর সামরিক শাসন ঘোষণা বাতিলের ভোট আটকাতে দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে সশস্ত্র সেনা পাঠান ইউন, যা দেশজুড়ে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করে। এরপর জানুয়ারিতে তাঁকে আটক করা হয়। পরে প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে মার্চে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর এপ্রিলে দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত তাঁকে পদচ্যুত করে এবং জুনে অনুষ্ঠিত হয় আগাম নির্বাচন।

নতুন প্রেসিডেন্ট লি জে-মিয়ং দায়িত্ব নিয়ে ইউন-এর শাসনামলে সামরিক শাসনের প্রচেষ্টা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক অভিযোগের তদন্তে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য আইন পাস করেন। চলতি মাসের শুরুতে ওই বিশেষ তদন্তকারী দল ইউনকে দুটি বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। যার একটি জানুয়ারিতে কীভাবে গ্রেপ্তার প্রতিরোধ করেছিলেন তিনি। এবং অন্যটি হলো—সামরিক শাসন জারির পক্ষে অজুহাত তৈরি করতে তিনি কি ইচ্ছাকৃতভাবে পিয়ংইয়ংয়ের দিকে ড্রোন পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন কিনা।

জবাবে ইউন বলেন, দেশের ভেতরে যেসব ব্যক্তি ও গোষ্ঠী উত্তর কোরিয়া-সমর্থক এবং রাষ্ট্রবিরোধী কাজকর্মে জড়িত, তাদের দমন করতেই সামরিক শাসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল এবং এটি দেশের জন্য জরুরি ছিল।

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর দ্বিতীয়বার যুদ্ধবিরতিতে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

নাজিব রাজাকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড, জটিল সমীকরণে মালয়েশিয়ার সরকার

৫৪ কোটি ডলার পাচার: ক্ষমতার অপব্যবহারে দোষী সাব্যস্ত মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী

চীনের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই রেকর্ড প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন করল জাপান

থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো বিষ্ণু মূর্তি, নিন্দা জানাল ভারত

নাগরিকত্বের জন্য বসবাসের শর্ত দ্বিগুণ করল জাপান

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টাকে প্রতিহতের ঘোষণা উত্তর কোরিয়ার

তাইওয়ানে মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে ছুরি হামলা, নিহত ৩

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

দেশের টাকমাথার লোকদের বাঁচানোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট