অলিম্পিক লরেল পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশি নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্রীড়াযজ্ঞ অলিম্পিকের ‘টোকিও অলিম্পিক-২০২০’ আসরের শুভ উদ্বোধনকালে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) তাঁর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে প্রথম অলিম্পিক লরেল পুরস্কার চালু হয়। সেবার কেনিয়া অলিম্পিক কমিটির চেয়ারম্যান কিপ কেইনো। তিনি নিজ দেশে শিশুদের জন্য একটি বাড়ি, একটি স্কুল এবং একটি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছিলেন। দ্বিতীয় ব্যাপ্তি হিসেবে ড. ইউনূস এ সম্মানজনক পুরস্কারটি পেলেন। খেলাধুলার উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিস্তৃত অবদানের কারণে তাঁকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সামাজিক সংস্থা ‘ইউনুস স্পোর্টস হাব’-এর মাধ্যমে সংস্থাটি খেলাধুলার মাধ্যমে উন্নয়নের তত্ত্বকে উৎসাহ দেয়।
ফেসবুকের ওই পোস্টে ইউনূস লিখেন, 'এই পদকটি পেয়ে আমি সম্মানিত ও আনন্দিত। এই পদকটি আমার কাছে অত্যন্ত বিশেষ একটি পুরস্কার।' আইওসি খেলাধুলার সামাজিক দিকগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে বলেও উল্লেখ করা হয়। বিশ্বকে বদলে দিতে ক্রীড়াবিদেরা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে পৃথিবীকে ইতিবাচকভাবে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করে যাওয়ায় আইওসিকেও ধন্যবাদ জানান ড. ইউনূস।
পৃথিবীতে তিনটি জিরো (০) বাস্তবায়নের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান এ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। এগুলো হচ্ছে—কার্বন নিঃসরণ শূন্য, দারিদ্র্য শূন্যের কোটায় নিয়ে যাওয়া এবং উদ্যোক্তা গঠনের মাধ্যমে বেকারত্বকে শূন্যের কোটায় নিয়ে যাওয়া।
প্রসঙ্গত, ৮১ বছর বয়সী ইউনূস ১৯৮০ দশকে বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন এবং ক্ষুদ্র ঋণদাতাদের সঙ্গে যৌথভাবে ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান।