কিন্ডারগার্টেন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি, আরবিসহ সব বিদেশি ভাষা শেখানো নিষিদ্ধ করেছে ইরান। দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়ার বরাত দিয়ে খবরটি জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আইআরএনএয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, ইরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাসুদ তেহরানি-ফারজাদ বলেছেন, ‘কিন্ডারগার্টেন, নার্সারি এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদেশি ভাষা শেখানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কারণ, এ বয়সেই শিশুদের মধ্যে ইরানি নাগরিকের পরিচয় গড়ে ওঠে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশি ভাষা শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞার আওতায় শুধু ইংরেজি নয়, আরবিসহ অন্য ভাষাগুলোও পড়বে।’
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে ২০১৮ সালেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইংরেজি শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কেবল মাধ্যমিক পর্যায় থেকে বিদ্যালয়গুলোতে ইংরেজি পড়ানো হয়। ইরানের সরকারি ভাষা ফারসি। আরবির বেশ শক্ত প্রভাব রয়েছে ফারসির ওপর। সে সঙ্গে, ফরাসি এবং ইংরেজি শব্দও ঢুকে গেছে ফারসির মধ্যে।
‘ইংরেজি ভাষার একচেটিয়া আধিপত্য’ দূর করতে ২০২২ সালের জুনে ইরানের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশের বিদ্যালয়গুলোতে পরীক্ষামূলকভাবে ফরাসি ভাষা শেখানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল। এরপর সেপ্টেম্বরে ইরানের সরকার ইরানি এবং দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকা অধিবাসীদের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমের বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ নিষিদ্ধ করে। সে সময় ইরানি শিশুদের দেশের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করার বাধ্যবাধকতার কথা বলেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এই সিদ্ধান্তের ফলে ফরাসি ও জার্মান প্রতিষ্ঠানসহ তেহরানের বেশ কিছু আন্তর্জাতিক বিদ্যালয়ে ছাত্রদের সংখ্যা হঠাৎ করে কমে যায়।