নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ক্রমশ কমে আসছে এখনো নিখোঁজ থাকা বাকি দুজনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও। গত রোববার হিমালয়ের পাদদেশে নেপালের মাস্তাং জেলার তাশাং এলাকার পাহাড়ি এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নেপালি সংবাদমাধ্যম দ্য রাইজিং নেপাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতার নেতৃত্ব দেওয়া নেপালি সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল বাবুরাম শ্রেষ্ঠা নিহত ২০ জনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুই জার্মান, চারজন ভারতীয় এবং বিমানের পাইলট, ফার্স্ট অফিসার ও ক্রুসহ মোট ১৬ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি উড্ডয়ন করেছিল বলে জানিয়েছে নেপালি সংবাদমাধ্যম দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্ট। সংবাদমাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডি হ্যাভিল্যান্ড কানাডার ডিএইচসি–৬–৩০০ সিরিজের ওই টুইন অটার বিমানটি রোববার সকালে উড্ডয়নের মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি নেপালের পর্যটন শহর পোখারা থেকে উড্ডয়ন করেছিল। বিমানটি ভূমি থেকে প্রায় ১৪ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় হিমালয় পর্বতমালার একটি খাঁড়া ঢালে বিধ্বস্ত হয়।
দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্টের ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিখোঁজ বাকি দুজনের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র দেও চন্দ্র লাল কর্ণ এ বিষয়ে বলেছেন, ‘এই ঘটনায় জীবিত কাউকে উদ্ধার করার সম্ভাবনা খুবই সামান্য।
অপরদিকে, দুর্ঘটনায় নিহত নেপালি নাগরিকদের স্বজনদের আহাজারি চলছে দুর্ঘটনাস্থলের নিচের সমতলে। দুর্ঘটনায় নিহত বিমানটির কো–পাইলট (ফার্স্ট অফিসার) উস্তভ পোখরেলের বাবা মণিরাম পোখরেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি আমার সন্তানের মরদেহের জন্য অপেক্ষা করছি।’
তবে, উদ্ধারকারী বাহিনী এবং মাস্তাংয়ের স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, নিহতদের মরদেহ শনাক্তকরণের বিষয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।