বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে মিয়ানমারের বন্দরনগরী সিত্তে অবস্থান করছে। শহরের ওপর দিয়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২১০ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ঘূর্ণিঝড়ে মিয়ানমার উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের ফলে সিত্তের বড় অংশ প্লাবিত হয়ে গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ে সিত্তে শহরের টিনের তৈরি ঘরগুলো উড়ে যেতে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত একটি নেটওয়ার্ক টাওয়ার ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে প্রায় চার লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সাম্প্রতিক সময়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলোর একটি মোখা। ঘূর্ণিঝড়ে ভূমিধসের আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এতে ব্যাপক হতাহত হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবিক অফিসের (ওসিএইচএ) তথ্যমতে, রাখাইন রাজ্যজুড়ে এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৬০ লাখ মানুষ ইতিমধ্যে মানবিক সহায়তা চাহিদাসম্পন্ন ছিল। এ অঞ্চলের প্রায় ১২ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘ ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসের কারণে ওই অঞ্চলের যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।