হোম > বিশ্ব > ভারত

আরএসএস প্রধানের বক্তব্যকে সমর্থন জানালেন জমিয়তের আরশাদ মাদানি

কলকাতা প্রতিনিধি  

মোহন ভাগবত ও আরশাদ মাদানি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে নতুন করে আলোচনায় এসেছে জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানি এবং রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস)-এর প্রধান মোহন ভাগবতের হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের আহ্বান। সম্প্রতি মাওলানা মাদানি তাঁর এক বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, তা দূর করা প্রয়োজন। আশা করি, এই পদক্ষেপ শীঘ্রই বাস্তবে পরিণত হবে।’

ভারতের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যখন ধর্মীয় মেরুকরণ নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে, তখন এই দুই প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বের এমন আহ্বান বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। মোহন ভাগবতের মন্তব্য, ‘ভারতের সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করে এবং দেশের উন্নতির জন্য হিন্দু-মুসলিম ঐক্য অপরিহার্য।’

ভাগবতের এমন নরম এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক অবস্থান ঐতিহাসিকভাবে আরএসএস-এর কঠোর হিন্দুত্ববাদী ভাবধারার বাইরে গিয়ে একটি নতুন বার্তা বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, মাওলানা আরশাদ মাদানি, যিনি দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম সম্প্রদায়ের অধিকার ও ধর্মীয় পরিচয়ের পক্ষে সোচ্চার, তাঁর সমর্থন এই উদ্যোগের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়িয়ে দিয়েছে।

মাদানির নেতৃত্বাধীন জমিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ মুসলিম সমাজের শিক্ষা, মানবিক সহায়তা এবং সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাদানির সমর্থনকে অনেকেই দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির একটি সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।

এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে ভারতের রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিছু বিরোধী দল এটিকে রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে দেখছে এবং এই পদক্ষেপকে ‘ভোটের রাজনীতি’ বলে সমালোচনা করেছে। তাদের অভিযোগ, এটি এক ধরনের দ্বৈত নীতি। যদিও এই সমালোচনা সত্ত্বেও, সাধারণ মানুষের মধ্যে এই উদ্যোগের প্রতি ইতিবাচক সাড়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি কেবল রাজনৈতিক ভাবনা নয়, বরং সামাজিক সংহতি ও সাম্প্রদায়িক বন্ধন সুদৃঢ় করার ক্ষেত্রে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের পদক্ষেপ দীর্ঘমেয়াদে ভারতের অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য সহায়ক হতে পারে।

মাওলানা মাদানি ও মোহন ভাগবতের এই উদ্যোগ যদি বাস্তবিক অর্থে এগিয়ে যায়, তবে তা ভারতের সমাজ ও রাজনীতিতে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। বিশেষ করে শিক্ষা, মানবিক কার্যক্রম এবং ধর্মীয় সংহতির মতো ক্ষেত্রগুলোতে এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়া সম্ভব।

উভয় সম্প্রদায়ের নেতারা যদি নিয়মিত পারস্পরিক সংলাপের মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝিগুলো দূর করতে পারেন, তবে এটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে। এই উদ্যোগের সফলতা ভারতের বহুত্ববাদী সমাজ ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ফিলিস্তিনসহ ৬ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

ট্রাম্পের ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ মামলা প্রতিহতের ঘোষণা দিল বিবিসি

টান দিয়ে নারীর মুখের নিকাব সরিয়ে তোপের মুখে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার

বন্ডাই বিচে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ দম্পতিও!

৩০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন ভারতীয় নারী, গ্রিন কার্ড সাক্ষাৎকারে গিয়ে আটক

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

বিশ্বজুড়ে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বীজ বুনেছেন ট্রাম্প—ইয়েল বিশেষজ্ঞের সতর্কতা

ব্রাজিলে ধসে পড়ল ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টির’ ১১০ ফুট উঁচু রেপ্লিকা

ক্যানসার আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে প্রতারণা, ৪০ লাখ ডলার আত্মসাতের নেপথ্যে এক ইসরায়েলি

বিজয় দিবসে রাহুলের পোস্টেও বাংলাদেশ নেই, একাত্তরে সীমান্ত রক্ষায় ‘ভারতীয় বীর’দের শ্রদ্ধা