মিসরের একটি জাদুঘরে মমি করে রাখা হবে একটি হাঙরকে। এই হাঙরটি সম্প্রতি এক রুশ পর্যটকের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে খেয়ে ফেলে।
বুধবার দ্য ইনডিপেনডেন্টের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে।
২৩ বছর বয়সী রুশ যুবক ভ্লাদিমির পপোভ মিশরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। হুরঘাদা নামে দেশটির একটি উপকূলীয় রিসোর্টে বাবার সঙ্গে অবস্থান করছিলেন তিনি। পরে সেখান থেকে তারা সমুদ্রে সাঁতার কাটতে গেলে একটি হাঙর পপোভকে আক্রমণ করে। সমুদ্রের তীর থেকে এই আক্রমণের একটি ভিডিও ফুটেজ বিশ্বজুড়ে ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়-হাঙরের আক্রমণ থেকে বাঁচতে হাত-পা ছুড়ে প্রাণপণ চেষ্টা করছেন পপোভ। এ সময় চিৎকার করে তাকে বলতে শোনা যায়-‘বাবা আমাকে বাঁচাও।’
এ ঘটনার পর হাঙরটিকে আটক করা হয় এবং তার পেটের ভেতরে পপোভের শরীরের ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন অংশ খুঁজে পাওয়া যায়। কিছু অঙ্গপ্রত্যঙ্গ জেলেদের জালেও উঠে আসে।
জানা গেছে, হাঙরটিকে ইতিমধ্যেই বিশেষভাবে সংরক্ষণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মিসরের মেরিন সায়েন্স ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ওই ইনস্টিটিউটের একটি জাদুঘরে এটিকে প্রদর্শনীর জন্য রাখা হবে।
হাঙরের আক্রমণে বিষয়ে পপোভের বাবা ইউরি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা অবকাশের জন্য বিচে গিয়েছিলাম। মাত্র ২০ সেকেন্ডর মধ্যেই ঘটনাটি ঘটে গেছে। ছেলেকে পানির নিচে টেনে নিয়ে যায় হাঙরটি।’
ঘটনাটিকে অস্বাভাবিক হিসেবে বর্ণনা করেন ইউরি। কারণ তারা জানতে পেরেছিলেন-এই বিচে কখনোই এ ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
ইউরি জানান, উদ্ধার করা ছেলের শরীরের টুকরোগুলোকে দাহ করবেন তিনি। পরে সেই ছাই নিয়ে যাবেন রাশিয়ায়।