ঢাকা: ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মসজিদের উদ্বোধনের পর জুমার নামাজে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন। এমনকি অনেকে মসজিদে জায়গা না পেয়ে এর চত্বরে বসে নামাজ পড়েন।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে তাকসিম স্কয়ারে একটি বিতর্কিত মসজিদ উদ্বোধন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। গতকাল শুক্রবার মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। এই মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে ২০১৩ সালে তুরস্কে তুমুল বিরোধিতা হয়েছিল।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, মসজিদের উদ্বোধনের পর জুমার নামাজে হাজার হাজার মানুষ যোগ দেন। এমনকি অনেকে মসজিদে জায়গা না পেয়ে এর চত্বরে বসে নামাজ পড়েন।
মসজিদটি এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যার সঙ্গেই আছে খোলা চত্বর যেটিকে ঐতিহাসিকভাবে ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্ক প্রজাতন্ত্রের প্রতীক মনে করা হয়।
তাকসিম স্কয়ারে তুর্কি প্রজাতন্ত্র এবং এর প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। এরদোয়ানবিরোধীদের অভিযোগ ছিল, ওই স্থানে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ তুরস্ককে ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিচয় থেকে সরিয়ে দিচ্ছে।
শুক্রবার মসজিদটির উদ্বোধন করে জুমার নামাজের পর এরদোয়ান বলেছেন, তাকসিম মসজিদ এখন ইস্তাম্বুলের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়। আল্লাহর ইচ্ছায় এটি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকবে।
মসজিদের উদ্বোধনের সময় জুমার নামাজ পড়তে আসা বিপুলসংখ্যক মানুষের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রতিবাদ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে মসজিদ নির্মাণ করতে পারা একটি বিজয়। কোনো কিছুই এ উদ্যোগকে বন্ধ করতে পারবে না।
এরদোয়ান নব্বইয়ের দশকে ইস্তাম্বুলের মেয়র থাকার সময় তাকসিম স্কয়ারে মসজিদ নির্মাণের ইচ্ছার কথা বলেছিলেন।
পূর্বের অবস্থা স্মরণ করে এরদোয়ান বলেন, এখানে নামাজ পড়ার জন্য একটি কক্ষ পর্যন্ত ছিল না এবং ধর্ম বিশ্বাসীরা খোলা জায়গায় পত্রিকা বিছিয়ে নামাজ পড়তেন।
নামাজ পড়তে আসা মানুষজন নতুন এ মসজিদের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। মসজিদটি আসলে নির্মিত হয়েছে অটোমান সাম্রাজ্যের বৈশিষ্ট্য আর আধুনিক স্থাপত্যের সমন্বয়ে। এখানে এক সঙ্গে প্রায় চার হাজার মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন।
আবুজের কচ নামে একজন বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান যে মানুষের তুলনায় সেখানে মসজিদ কম ছিল। তিনি বলেন, যারা এটি বানিয়েছে আল্লাহ তাদের মঙ্গল করুন।
তাকসিম স্কয়ারের গাজি পার্কে ২০১৩ সালে যখন এই মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল তখন সেখানে এর প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। এমনকি বিশ্বের নানা জায়গায় ওই বিক্ষোভের প্রতি সংহতি জানিয়েও নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছিল।