মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন দুই দিনের চীন সফরের শেষ মুহূর্তে দেশটির প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে এক অঘোষিত বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। বৈঠকের পর তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন তাদের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
আজ সোমবার রাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেইজিংয়ে তিয়েনআনমেনের গ্রেট হল অব পিপলে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে আলোচনার জন্য দেখা করেছেন ব্লিঙ্কেন।
৩৫ মিনিট বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি জোর দিয়েছিলাম, উচ্চপর্যায়ে টেকসই যোগাযোগ হলো—দায়িত্বশীলতার সঙ্গে মতভেদগুলো পরিচালনা করার এবং প্রতিযোগিতা থেকে সংঘাত এড়ানোর সর্বোত্তম উপায়।’
এ সময় চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘আমি আমার চীনা প্রতিপক্ষের কাছ থেকেও একই কথা শুনেছি। আমরা উভয়ই আমাদের সম্পর্ক স্থিতিশীল করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত।’
তবে ব্লিঙ্কেন এও জানান, অনেক ইস্যুতেই চীনের সঙ্গে গভীর এবং তীব্রভাবে দ্বিমত পোষণ করে যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প আমলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ, তাইওয়ানের ওপর চীনের কর্তৃত্বের দাবি এবং চলতি বছরের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের আকাশসীমায় একটি চীনা গুপ্তচর বেলুনের উপস্থিতির জের ধরে দুই দেশের সম্পর্ক নাজুক পর্যায়ে পৌঁছেছিল। তবে ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ককে ইতিবাচক দিকে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সি চিন পিং।
ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘দুই পক্ষ অগ্রগতিও করেছে এবং কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছে।’
জানা গেছে, চীনা প্রেসিডেন্টর সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠকের বিষয়টি তাঁর সফরসূচিতে ছিল না। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার এক ঘণ্টা আগে এ সম্পর্কে ঘোষণা দেওয়া হয়।
বলা হচ্ছে, এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত না হলে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি গলদ হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
ইতিপূর্বে সি চিন পিংও তাঁর দেশের জনগণকে এক বার্তায় জানিয়েছিলেন, তাঁর সরকার ওয়াশিংটনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করছে।
এ ছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারাও আওয়াজ তুলেছিলেন, তাঁরা চীনাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ও প্রতিযোগী হিসেবে দেখেন, প্রতিপক্ষ হিসেবে নয়।