করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতার জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল তিউনিসিয়ার জনগণ। সরকারবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছিল দেশের সর্বত্র। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রোববার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। গণবিক্ষোভের মুখে তিউনিসিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিচেম মেচিচিকে বরখাস্ত করে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দেশটির প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইয়েদ।
প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইয়েদ নতুন প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। তিনি দাবি করেছেন, সংসদ স্থগিত করার অনুমতি সংবিধানই তাঁকে দিয়েছে। দেশ যখন বিপদের মুখে, তখন তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতেই পারেন।
নিজ বাসভবনে জরুরি সভা শেষে এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইয়েদ নতুন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় নির্বাহী ক্ষমতা গ্রহণ করবেন বলে জানান।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেওয়া বিবৃতিতে কায়েস সাইয়েদ বলেন, জনগণের অধিকার নিয়ে ভণ্ডামি, বিশ্বাসঘাতকতা ও লুটপাটের কারণে বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইয়েদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যাঁরা অস্ত্র হাতে তুলে নিতে চাইছেন আমি তাঁদের সতর্ক করছি। কেউ যদি গুলি ছোড়ে, এর জবাবে সামরিক বাহিনীও গুলি ছুড়বে।’
তিউনিসিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার র্যাচেড ঘানুচি এ পদক্ষেপের পর প্রেসিডেন্ট সাইয়েদকে ‘বিপ্লব ও সংবিধানের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান’ চালানোর অভিযোগ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে র্যাচেড ঘানুচি বলেন, ‘আমরা মনে করি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো টিকে আছে। ক্ষমতাসীন এন্নাহদার পার্টির সমর্থক ও তিউনিসিয়ার জনগণ এ বিক্ষোভ প্রতিহত করবেন।’
উল্লেখ্য, রাজধানী তিউনিসিয়াসহ গতকাল রোববার কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছেন। তাঁরা সরকারের উদ্দেশে ‘চলে যাও, চলে যাও’ স্লোগান দেন। এ ছাড়া পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের দাবিতেও স্লোগান তোলেন তাঁরা। পরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া ও প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করার সংবাদে তাঁরা উল্লাস প্রকাশ করেন।