হোম > স্বাস্থ্য

মেছতা থেকে ভালো থাকতে

ডা. মো. মোশাররফ হোসেন

মেছতা নিয়ে নারী, পুরুষ—সবাই উদ্বিগ্ন। এ জন্য অনেকে বিব্রত বোধ করেন। ফলে এটি শুধু একটি ত্বকের রোগ নয়, তার চেয়েও বেশি কিছু।

নারী বা পুরুষের মুখমণ্ডলের দুই পাশের উঁচু জায়গায় বা কপালে ছোপ ছোপ বাদামি রঙের দাগ দেখা যায়। এটিই মেছতা বা মেলাসমা।

কার হয় এবং কেন হয়

মেছতা সাধারণত মধ্যবয়সী নারী-পুরুষ উভয়েরই হয়ে থাকে। তবে এটি নারীদের বেশি হয় এবং নারীরাই এর চিকিৎসার জন্য বেশি আসে।

মেছতা হওয়ার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে দুটি কারণ শনাক্ত করা গেছে। এর একটি হলো রোদে পোড়া বা সান এক্সপোজার এবং অন্যটি হরমোনের আধিক্য। যারা বিভিন্ন কাজকর্মে বেশিক্ষণ রোদে থাকে, তাদের ত্বক বেশি সময় ধরে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে থাকে। এটি মেছতা হওয়ার কারণ। যেসব নারী জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খান বা ইনজেকশন নেন কিংবা গর্ভবতী, তাঁদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোনের আধিক্য থাকে। এ কারণেও মেছতা হয়। এ ছাড়া কিছু হরমোনজনিত রোগ এবং ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণেও এটি হতে পারে।

মেছতার চিকিৎসা

মেছতার বিষয়ে আধুনিক কিছু চিকিৎসা আছে। সানস্ক্রিন ব্যবহার: রোদে যেতে হলে ঘর থেকে বের হওয়ার ৩০ থেকে ৪০ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। আমাদের দেশের আবহাওয়া এবং আমাদের ত্বকের ধরন অনুসারে কমপক্ষে এপিএফ ৩০+ থেকে এপিএফ ৫০+ হলে ভালো হয়।

দাগ দূর করতে: হাইড্রোকুইনোলোন ২ থেকে ৪ শতাংশ যুক্ত ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। তবে যেসব ক্রিমে হাইড্রোকুইনোলোনের সঙ্গে স্টেরয়েড ও ট্রেটিনয়িন যুক্ত থাকে, সেগুলোর ব্যবহারে সফলতা বেশি পাওয়া যায়।

এ ছাড়া মেছতার চিকিৎসায় সার্জিক্যাল বা মেডিকেল পিলিং করা যায়। বিশেষ ক্ষেত্রে লেজার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।

পরিত্রাণের উপায়

  • রোদে কম যাওয়া
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার করা
  • মুখমণ্ডল ঢেকে রাখা, ছাতা ব্যবহার করা কিংবা মাথায় হ্যাট ব্যবহার করা
  • জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা ইনজেকশনের বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করা
  • মেছতার শুরুতে চিকিৎসা নিলে স্থায়ী দাগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

পরামর্শ দিয়েছনে: ডা. মো. মোশাররফ হোসেন, চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ সিনিয়র কনসালট্যান্ট

আলোক হেলথকেয়ার, মিরপুর-১০, ঢাকা

কিডনি রোগীর বন্ধু কামরুল

কবিরাজিসহ প্রথাগত চিকিৎসার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

শীতে খিচুড়ি কেন খাবেন

এই শীতে কেন খাবেন তেজপাতা ও লবঙ্গ চা

ঘুমের ঘোরে খাওয়া রহস্যময় ও জটিল এক স্বাস্থ্য সমস্যা

যে ছয় কারণে দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশি হয়

ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরু করার আগে

ভারতে চিকিৎসকদের জন্য হাতে প্রেসক্রিপশন লেখার নতুন নিয়ম

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি: অর্থায়ন বন্ধে যক্ষ্মা বিস্তারের শঙ্কা

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ