হোম > স্বাস্থ্য

অ্যাসিডিটি দূর করে যেসব খাবার

ইতি খন্দকার, পুষ্টিবিদ

অ্যাসিডিটির সমস্যা শিশু থেকে শুরু করে কমবেশি সব বয়সের মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। এ সমস্যা হয় মূলত অস্বাস্থ্যকর ও অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, ঠিকমতো না ঘুমানো, অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং একাধিক উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ওষুধ সেবনের ফলে। শুরু থেকে অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে সতর্ক হওয়া উচিত। না হলে নানান রোগের মুখোমুখি হতে হবে।

অ্যাসিডিটি এড়াতে সাহায্য করবে যেসব খাবার
ঔষধি খাবার:
পুদিনা, তুলসী ও কালো মেঘের পাতা, চিরতা ইত্যাদি ঔষধি উপাদান পাকস্থলীতে মিউকাস উৎপাদনে সাহায্য করে। তা ছাড়া খাবার হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এ ধরনের খাদ্য উপাদান। তাই অ্যাসিডিটি এড়াতে এসব পাতার রস কিংবা এগুলোর কোনো কোনোটি পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

মসলার উপাদান: মৌরি, লবঙ্গ, আদা, কাঁচা হলুদ, জিরা, এলাচি এবং গোলমরিচ রান্নায় ব্যবহার করা হয়। এসব উপাদানে অ্যান্টি-আলসার উপাদান রয়েছে, যা অতিদ্রুত খাবার হজমে সহায়তা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ফলে অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কলা, শসা, পেঁপে ও আমলকী: কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা পাকস্থলীতে মিউকাস উৎপাদন করে। এর আঁশ খাবার হজমে সহায়তা করে থাকে। শসা ও পেঁপে অ্যাসিডিটি দূর করে। এ ছাড়া দৈনিক তিনটি করে আমলকী কিংবা এক গ্লাস পানিতে এক চামচ আমলকীর গুঁড়া মিশিয়ে খেলে অ্যাসিডিটি দূর হয় এবং বুকের জ্বালাপোড়া কমে যায়।

ঠান্ডা দুধ ও দই: ঠান্ডা দুধে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা অ্যাসিড উৎপাদনে বাধা দেয়। দইয়ে ল্যাকটোব্যাকিলাস, অ্যাসিডোফিলাস ও বিফিডাসের মতো উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা খাবার দ্রুত হজম সহায়তা করে। পাশাপাশি খারাপ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এ জন্য খাবারের পর দই খাওয়া ভালো, বিশেষ করে টক দই কিংবা মাঠা।

অ্যাসিডিটি কমাতে আরও কিছু করণীয়
⊲    প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ না করে এক থেকে দেড় গ্লাস পানি খেতে হবে, যা তৈরি হওয়া গ্যাস দূর করতে সাহায্য করবে।
⊲    প্রতিদিন খাওয়ার কমপক্ষে ১০ মিনিট আগে ও পরে পানি খেতে হবে। খাওয়ার মাঝখানে অতিরিক্ত পানি খাওয়া যাবে না।
⊲    অতিরিক্ত ঝাল ও মসলাযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড কিংবা ট্রান্সফ্যাট-জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

সময়মতো ও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। কোনো ধরনের মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না। রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি ও শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে।

ভারতে চিকিৎসকদের জন্য হাতে প্রেসক্রিপশন লেখার নতুন নিয়ম

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি: অর্থায়ন বন্ধে যক্ষ্মা বিস্তারের শঙ্কা

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ

শীতে যেসব খাবার মন শান্ত রাখবে

পুরুষ বন্ধ্যত্ব: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

শীতকালীন নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন যেভাবে

রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে করণীয়

থাইরয়েড হরমোন কম থাকার লক্ষণ

ওষুধকে ফাঁকি দিতে মরার ভান করে ক্যানসার কোষ—গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য

সাধারণের স্বাস্থ্যসেবা: মিলিয়ে যাচ্ছে ‘সূর্যের হাসি’