হোম > স্বাস্থ্য

অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকারিতা প্রাণহানির কারণ হতে পারে

ডা. নাজমুন নাহার

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান বিশ্বে একটি গভীর স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকারিতা। এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব প্রতিরোধ করে ফেলে। ফলে সাধারণ সংক্রমণগুলোও জটিল ও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

মূল কারণ

» অতিরিক্ত ও ভুলভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার

» অনেক সময় সাধারণ ঠান্ডা, সর্দি বা ভাইরাল সংক্রমণের ক্ষেত্রেও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। রোগী সম্পূর্ণ কোর্স না করে মাঝপথে ওষুধ বন্ধ করে দেন। নিজের মনমতো বা পুরোনো প্রেসক্রিপশন ব্যবহার করে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করেন।

» পশু খাতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার

» গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির দ্রুত বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। এই অ্যান্টিবায়োটিক জীবাণুগুলো মানুষের শরীরে প্রবেশ করে প্রতিরোধশীলতা তৈরি করে।

অস্বাস্থ্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি

অনেক হাসপাতাল ও ক্লিনিক সঠিক পদ্ধতিতে জীবাণুমুক্ত রাখা হয় না। একই সিরিঞ্জ বা সরঞ্জাম বহুবার ব্যবহার করা হয়। এসব কারণে ইনজেকশন, ইনফিউশন কিংবা অস্ত্রোপচারের সময় জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে।

অপ্রয়োজনীয় প্রেসক্রিপশন

অনেক সময় চিকিৎসকেরা ডায়াগনস্টিক টেস্ট ছাড়া শুধু রোগের উপসর্গ দেখে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ লিখে দেন। সেসব ওষুধ নিয়মিত খেলেও অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে যায়।

নিম্নমানের ওষুধ

বাজারে নিম্নমানের বা ভেজাল অ্যান্টিবায়োটিক আছে। এমন ওষুধের সঠিক ডোজ ও গুণমান না থাকায় ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস না হয়ে বরং সেগুলো প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করে।

জনসচেতনতার অভাব

অ্যান্টিবায়োটিক কীভাবে কাজ করে এবং কেন পুরো কোর্স শেষ করা দরকার—এ বিষয়ে অনেকে জানেন না। রোগ ভালো হলেই ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকে, যা ব্যাকটেরিয়ার প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।

অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের পরিণতি

» সাধারণ সংক্রমণ, যেমন মূত্রনালি সংক্রমণ, নিউমোনিয়া, টিউবারকুলোসিস ইত্যাদি সহজে নিরাময়যোগ্য থাকে না।

» হাসপাতালের সঙ্গে সম্পর্কিত সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

» অস্ত্রোপচার বা ক্যানসার চিকিৎসার সময় সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

» ওষুধের ব্যয়, হাসপাতালে ভর্তি এবং চিকিৎসার সময়কাল অনেক বেড়ে যায়।

প্রতিরোধে করণীয়

» অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা।

» শুধু ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে।

» চিকিৎসক যেসব ওষুধ দিয়েছেন, তা শেষ না করা পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে।

» চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা যাবে না।

» গবাদিপশুতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে।

» রোগনির্ণয়ে আধুনিক টেস্ট ব্যবহার করতে হবে।

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ এবং নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি।

পরামর্শ দিয়েছেন: মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, চেম্বার: আলোক হাসপাতাল

কিডনি রোগীর বন্ধু কামরুল

কবিরাজিসহ প্রথাগত চিকিৎসার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

শীতে খিচুড়ি কেন খাবেন

এই শীতে কেন খাবেন তেজপাতা ও লবঙ্গ চা

ঘুমের ঘোরে খাওয়া রহস্যময় ও জটিল এক স্বাস্থ্য সমস্যা

যে ছয় কারণে দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশি হয়

ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরু করার আগে

ভারতে চিকিৎসকদের জন্য হাতে প্রেসক্রিপশন লেখার নতুন নিয়ম

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি: অর্থায়ন বন্ধে যক্ষ্মা বিস্তারের শঙ্কা

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ