হোম > স্বাস্থ্য

তাঁকে ভালোবাসতে আমার ভালো লাগে

প্রশ্ন: খাবারে অ্যালার্জি আছে কী করে বুঝব? আগে কখনো ইলিশ বা চিংড়িতে অ্যালার্জি হয়নি। কদিন আগে একটা দাওয়াতে বড় ইলিশ মাছ খাওয়ার পর হাতে চাকা চাকা হয়ে ফুলে উঠেছে। অ্যাভিল খাওয়ার পর কমেছে।

বিপ্লব কর্মকার, হবিগঞ্জ

খাবারে অ্যালার্জির উপসর্গ খুব হালকা থেকে শুরু করে জীবনের ঝুঁকি পর্যন্ত গড়াতে পারে। অ্যালার্জির সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে চুলকানো, র‍্যাশ, চাকা চাকা হওয়া, শ্বাসকষ্ট, ঠোঁট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি। ফলে খুব সাবধানে থাকতে হবে। আগে কোনো ফুড অ্যালার্জির ইতিহাস না থাকলেও পরবর্তী কালে হতে পারে। অ্যালার্জির প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে, যেসব কারণে অ্যালার্জি হয়, সেগুলো এড়িয়ে চলা। আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেম যদি কোনো খাবারের বিপরীতে জোরালোভাবে কাজ করতে থাকে, তখন ফুড অ্যালার্জি বা খাবারে অ্যালার্জি হতে পারে। কোন কোন খাবারে অ্যালার্জি আছে তা জানতে আপনি একটি অ্যালার্জি প্যানেল টেস্ট করতে পারেন। তাতে সবজি, ফল, শস্য, মাছ-মাংসে অ্যালার্জি আছে কি না, তা শনাক্ত করা যাবে। শুধু খাবারের অ্যালার্জি নয়, এই টেস্টের মাধ্য়মে ধুলাবালু, জীবাণু বা গন্ধসহ কোন কোন বিষয়ে আপনার অ্যালার্জি আছে, তা-ও বের হয়ে আসবে। আর যেহেতু একবার আপনার অ্যালার্জি হয়েছে, তাই নিজে নিজে অ্যান্টিহিস্টামিন না খেয়ে একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসা শুরু করুন।   

ডা. তাওহীদা রহমান ইরিন
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওর সেল মেডিকেল, ঢাকা

প্রশ্ন: আমি প্রায় এক বছর ধরে একটি জটিল মানসিক অবস্থার মধ্য় দিয়ে যাচ্ছি। দুই বছর হলো আমার বিয়ে হয়েছে। তিন বছর প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ে করেছিলাম। দুজনেই কর্মজীবী। সংসারে দুজনেই আর্থিক জোগান দিই। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই লক্ষ করি, আমার স্বামী বিভিন্ন নারীর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। প্রেম করছেন তা বলছি না; বিভিন্ন জনের সঙ্গে কফি খেতে যান, গাড়িতে করে ঘুরতে বের হন বা সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটান। আমাকে আড়াল করে এসব করলেও বিভিন্নভাবে ধরা পড়েছেন আমার কাছে। আমার সঙ্গে তাঁর ঠিক কবে কোয়ালিটি টাইম কেটেছে, মনে পড়ে না। খুবই একাকিত্ব অনুভব করি। একটা সময় তাঁকে ঘিরেই আমার সব ছিল। কিন্তু এখন নিজের কাজে ফোকাস করলেও আত্মহত্য়ার প্রবণতা থেকে সরে আসতে পারছি না। গত বছর দুইবার স্লিপিং পিল খেয়েছি। কিন্তু স্টমাক ওয়াশ করা হয় পরে। ইদানীং মানসিকভাবে একজনকে আশ্রয়জ্ঞান করতে হচ্ছে। তিনি বয়সে আমার বড়। মাঝে মাঝে দেখা হয়, তেমন একটা কথা হয় না তাঁর সঙ্গে। কিন্তু মনে হয় তিনি আশপাশে থাকলে আমি সাহস পাই, শক্তি পাই। মাঝে মাঝে বাড়িতে একা থাকলে যখন আত্মঘাতী হতে ইচ্ছে হয়, তখন মনে হয় যদি ওই মানুষটার পাশে কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকতে পারতাম, তবে শান্তি পেতাম। তাঁর প্রতি প্রেম বা শারীরিক কোনো চাহিদা নেই আমার। কিন্তু তাঁকে ভালোবাসতে আমার ভালো লাগে। ইদানীং কিছুই ভালো লাগে না। এক সপ্তাহ ছুটি কাটিয়েছি। তবু ভালো লাগছে না। একা বাড়িতে থাকলেই কেবল আত্মহত্য়া করার কথা মনে হয়। কান্না পায়। আমি মানসিকভাবে সুস্থ ও ভালো থাকতে চাই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ঢাকা

আমি একটু ধাপে ধাপে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব। প্রথম অংশে আপনি বলেছেন, আপনার স্বামী আপনাকে আড়াল করে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে কফি খেতে যান এবং অন্যান্যভাবে সময় কাটান তাঁদের সঙ্গে। এই নারী কারা? এখানে কি শুধু নারীরাই থাকেন, নাকি সঙ্গে পুরুষেরাও যান? এই উত্তরগুলো জরুরি। এ ছাড়া বলেছেন, আপনার স্বামী বিভিন্নভাবে ধরা পড়েছেন আপনার কাছে।

এই জায়গাটায় আমি আপনাকে একটু নিজের চোখে আয়না ধরতে বলব। আপনার মধ্যে কোনো সন্দেহপ্রবণতা তৈরি হচ্ছে কি না, এটা বিশ্লেষণে একজন পেশাদার মনোবিদের সঙ্গে যোগাযোগ করাটা ভালো হবে। কারণ, আপনার কথায় বোঝা যাচ্ছে, নিরবচ্ছিন্ন হতাশা আপনাকে একাকিত্বের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আপনার কোর ইস্যু এখানে মিসিং অ্যাকসেপটেন্স।

আরেকটি বিষয়, নিজের চোখে আয়না ধরাটা প্রয়োজন। স্বামী আপনাকে সব কথা বলছেন না। এর মানে, হয় তিনি বলার সাহস পাচ্ছেন না অথবা স্বভাবগত কারণে বলছেন না। সাহস পাচ্ছেন না প্রসঙ্গটা যদি আসে, আমি আপনাকে বলব যে আপনি কি এমন কোনো আচরণ করেন, যা তিনি ভয় পান বলে আপনাকে বলতে সাহস পান না?

যদি ওপরের প্রতিটি পরিস্থিতিতেই আপনি ইতিবাচক থাকেন, সেটা আপনার পার্টনারের ক্ষেত্রে হবে চিটিং ইজ এ চয়েস। এই জায়গাটা বুঝে নিতেও আপনি কাউন্সেলিংয়ের শরণাপন্ন হতে পারেন।

এবার দ্বিতীয় পর্বে আসি, আপনি বলেছেন, ইদানীং একজনের প্রতি আকর্ষণ বোধ করছেন। এই জায়গাটিতে সতর্ক থাকুন। সম্পর্কটিকে শ্রদ্ধার মধ্যেই রাখুন। কারণ, মন সীমারেখা মানে না। আপনি তাঁকে যেভাবে চান, কিছুদিন পর সেটা না পেলে এর জন্য বাড়তি যে চাহিদা তৈরি হবে, সেটা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। তখন আবার ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে পড়বেন। সীমারেখাটা নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

এবার আসি শেষ পর্বে। আপনি কি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত? আপনি বলছেন, ইদানীং আপনার কিছু ভালো লাগে না। বাসায় থাকলেই আত্মহত্যার কথা মনে হয়। আমি অবিলম্বে আপনাকে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলব। সঙ্গে সাইকোথেরাপি লাগবে। কারণ, আপনার মধ্যে অনেক কষ্ট এবং ভয় জমে আছে। একজন সাইকোথেরাপিস্ট সেগুলো দূর করতে আপনাকে সহায়তা করবেন।

অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
চিকিৎসক, কাউন্সেলর সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার ফিনিক্স ওয়েলনেস সেন্টার বিডি

রেইনবো ডায়েট কী, সুস্বাস্থ্যের জন্য কেন দরকারি

ওজন কমাতে অনুপ্রেরণা ধরে রাখবেন যেভাবে

শীতে থাইরয়েড রোগীরা যা করবেন

সবজির পুষ্টিগুণ পাওয়ার সঠিক উপায়

ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে

প্রতিস্থাপনে শূকরের অঙ্গ একদিন মানব অঙ্গের চেয়ে উন্নত হতে পারে: বিশেষজ্ঞ

কিডনি রোগীর বন্ধু কামরুল

কবিরাজিসহ প্রথাগত চিকিৎসার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

শীতে খিচুড়ি কেন খাবেন