মাছ খাওয়া হয় প্রোটিনের জন্য। একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রোটিন হচ্ছে কোলাজেন, যা মাছের চামড়ায় থাকে। মাছে প্রোটিনের পাশাপাশি পাওয়া যায় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এসব গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের একটা বড় অংশ মাছের চামড়ায় থাকে। মাছের ছাল ফেলে দিলে সেসব উপাদান পাওয়া যায় না।
কোলাজেন
এটি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রোটিন উপাদান। ত্বকের উজ্জ্বলতা ও তারুণ্য ধরে রাখতে কোলাজেন ভূমিকা রাখে।
এই কোলাজেন প্রোটিন আমাদের শরীরেই তৈরি হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট বয়সের পর আর এটি পর্যাপ্ত পরিমাণে শরীরে তৈরি হয় না। তখন এর জন্য বাইরের উৎসের ওপর নির্ভর করতে হয়। মাছের চামড়া হচ্ছে কোলাজেনের বড় উৎস।
কোলাজেনের অভাবে যা হয়
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
মানবদেহে খাবারের বিপাকক্রিয়া ও শরীর সুস্থ রাখতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের বিকল্প নেই। প্রদাহ কমাতে, হৃদ্রোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় সবাইকে সপ্তাহে অন্তত দুইদিন ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
প্রায় সব মাছেই কম-বেশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকলেও বেশি পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছে। এর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে ডকোসাহেক্সোনয়িক অ্যাসিড। এটি হৃদ্রোগ হতে বাধা দেয়।
উপকারিতা
আঁশ
খাবারের অন্যতম উপাদান হচ্ছে ফাইবার বা আঁশ। কোষ্ঠকাঠিন্যসহ কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে কাজ করে এটি।
মাছের সঙ্গে ফ্রিতে এত উপকার পাওয়ার জন্য নিয়ম করে মাছের চামড়া খান। শিশুদেরও এটি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করুন।
লেখক: পুষ্টি কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল