হোম > স্বাস্থ্য

গরমে সুস্থ থাকতে মেনে চলুন

অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী 

দাবদাহ কমলেও গরম তো রয়েই গেছে। এ সময় ঘেমেনেয়ে অফিস করাসহ বিভিন্ন কাজ বন্ধ নেই। ফলে হচ্ছে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। ঝাল ও অতিরিক্ত মসলাজাতীয় খাবার খাওয়া কমাতে হবে।শরীর ভালো রাখতে কাজ না থাকলে প্রখর রোদে বেশিক্ষণ থাকা উচিত নয়। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়াই ভালো।

সুস্থ থাকতে যে বিষয়গুলো মেনে চলবেন

  • ডাবের পানি, ফলের রস আর প্রয়োজনে ওরস্যালাইন পান করুন।
  • এমন গরমে উচ্ছে, নিমপাতা ও বেগুন বেশ ভালো খাবার। যাঁদের ডায়াবেটিস, তাঁদের জন্য বেশি ভালো এই খাবারগুলো। পাশাপাশি খেতে পারেন এঁচোড়ের ঘন্ট এবং মাছের ঝোলের সঙ্গে সবজি।
  • প্রচণ্ড গরমে ঘেমেনেয়ে বাইরে থেকে এসে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি পান করা থেকে বিরত থাকুন। এ থেকে হয়ে যেতে পারে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা। তাই কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে পানি পান করা উচিত।
  • বাইরে যাওয়ার আগে ব্যাগে ছাতা ও পানির বোতল নিয়ে বের হবেন।
  • রোদে বেরিয়ে বমি ভাব হলে সঙ্গে সঙ্গে ছায়ায় বসে বিশ্রাম নিন।
  • চা ও কফি পান কমাতে হবে। প্রচণ্ড এই গরমে ফলের শরবতের মতো স্বল্প মিষ্টি পানীয় ও ঘোল খেতে পারেন। গরমে পেটের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মিষ্টিআলু, আদা, পুদিনাপাতার চাটনি ভালো কাজে দেয়।
  • গরমে কেউ অসুস্থ হলে তার পোশাক আলগা করে মাটিতে শুইয়ে দিতে হবে। কেউ অজ্ঞান হলে নিয়ে যেতে হবে হাসপাতালে।
  • বাইরে বের হলে ঢিলেঢালা সুতি পোশাক পরতে হবে। সঙ্গে রাখতে হবে টুপি ও রোদচশমা। সানস্ক্রিন ব্যবহারে অবহেলা করা যাবে না।
  • গরমে অনেকেরই জ্বর হয়। এ ছাড়া সর্দি-কাশির সমস্যা, নাক দিয়ে পানি ঝরা, নাক বন্ধ, গলাব্যথার মতো সমস্যা হয় অনেকের। দুপুর ১২টা থেকে বেলা ৩টায় রোদের তাপ বেশি থাকে। সে সময় না বেরোনোই ভালো।
  • অনেকের গরমে অ্যালার্জি হয়। ফ্লু আর অন্য ভাইরাসের দাপটও থাকে এ সময়। তাই মাস্ক পরুন আর নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস রাখুন।
  • জ্বর ১০১ হলে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেতে হবে। তবে জ্বর জ্বর লাগলেই খাওয়া যাবে না। নাক সুড়সুড় করলে লবণপানিতে নাক পরিষ্কার করুন স্প্রে করে। অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ খেতে পারেন।
  • গরমে বিকেলের নাশতায় ভাজাপোড়া না খেয়ে ফলের সালাদ খেতে পারেন।
  • এ সময় শিশুদের ডায়রিয়া, বমি ও হালকা জ্বর হতে পারে। তাই অতিরিক্ত গরমে তাদের বাইরে না নেওয়াই ভালো। প্রয়োজন হলে ওরস্যালাইন খাওয়ান।
  • এই গরমে প্রতিদিন গোসল করা জরুরি।

অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

কিডনি রোগীর বন্ধু কামরুল

কবিরাজিসহ প্রথাগত চিকিৎসার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

শীতে খিচুড়ি কেন খাবেন

এই শীতে কেন খাবেন তেজপাতা ও লবঙ্গ চা

ঘুমের ঘোরে খাওয়া রহস্যময় ও জটিল এক স্বাস্থ্য সমস্যা

যে ছয় কারণে দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশি হয়

ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরু করার আগে

ভারতে চিকিৎসকদের জন্য হাতে প্রেসক্রিপশন লেখার নতুন নিয়ম

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি: অর্থায়ন বন্ধে যক্ষ্মা বিস্তারের শঙ্কা

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ