কোভিড আবার বাড়ছে। এখন পর্যন্ত শেষ করোনা ভ্যারিয়েন্ট হলো ওমিক্রন, যা অনেক বেশি সংক্রামক, ডেলটা থেকে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একটি সংবাদ সম্মেলনে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জেনম সিকোয়েন্সিংয়ের ফলাফল উল্লেখ করতে গিয়ে বললেন, তাঁদের বহির্বিভাগের রোগীদের মধ্যে ওমিক্রনের অস্তিত্ব মিলেছে।আমাদের মধ্যে যাঁরা সচেতন, তাঁরা দুটো টিকা নেওয়ার পর বুস্টার ডোজ নিয়েছেন আর বড় জনসমাবেশ এড়িয়ে চলেছেন। এতে সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া গেছে ভালো।
উপসর্গ নিয়ে কথা
ঠান্ডা, সর্দি, ফ্লু না কোভিড
প্রথমে হতে পারে গলাব্যথা। সেটা সাধারণ ঠান্ডা লাগা হয়তো। এরপর জীবনের সবচেয়ে খারাপ মাথা ধরা হওয়ার আশঙ্কা আছে। এমন হলে নিঃসঙ্গ বাস আর টেস্টের ব্যবস্থা করতেই হবে।
সেদিন একটা ভোজের নিমন্ত্রণ ছিল। পরদিন প্রচুর হাঁচি আর নাক বন্ধ। দুষ্টু মাথা ধরা আছে। তবে স্বাদ আর ঘ্রাণ থাকল অটুট। এটি কোভিড কি? আর ওমিক্রনের উপসর্গ তো এমন নয়। টেস্ট করাতে হবে? এত তাড়াতাড়ি করে লাভ নেই। ভাইরাল লোড অত হবে না, তাই ফলস নেগেটিভ হতে পারে। হয়তো গলাব্যথা বাড়ল। হোম টেস্ট কিট সর্বত্র নেই। কী সমস্যা জানার জন্য চিকিৎসকের কাছে গেলেন। তার মানে সংক্রমণ আর কোভিড পজিটিভ। তাই যথাবিহিত চিকিৎসা। এমক্সিসিলিন, ঘরে তৈরি সুপ, কয়েক বাক্স টিস্যু।
কিন্তু কী টেস্ট
ওমিক্রন আর ডেলটার উপসর্গ আলাদা বলে টেস্ট করতেই বলেন চিকিৎসকেরা। আছে দ্রুত হোম টেস্ট। ভাইরাল এনটিজেনের উপস্থিতি জানায়, ফল আসে ১০-১৫ মিনিটে। আছে পিসিআর টেস্ট বা পলিমারেজ চেন রি-অ্যাকশন। এটি প্যাথজেন আর জেনেটিক বস্তু দুটোই পরিমাপ করে। অনেক সংবেদনশীল আর ফল পেতে লাগে ২৪-৭২ ঘণ্টা। করা হয় এনএএটি টেস্ট বা নিউক্লিক অ্যাসিড এমপ্লিফিকেশন টেস্ট। এই টেস্টেও ভাইরাসের জেনেটিক পদার্থ অন্বেষণ করা হয়।
যা করতে হবে
ওষুধপত্র খেতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে। লক্ষণ থাকতে পারে
ঠান্ডা লাগা, মাথা ধরা, সামান্য
কফ, গলাব্যথা, নাক দিয়ে পানি ঝরা। হাঁচি, জ্বর আর ঘ্রাণ কমে যাওয়াও হতে পারে। খেতে হবে পুষ্টিকর খাবার, প্রচুর পানি, গরম স্যুপ
আর গ্রিন টি।
লেখক: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল