হোম > স্বাস্থ্য

প্রতি হাজারে একজন যক্ষ্মা রোগী এইডসে আক্রান্ত, অধিকাংশই পুরুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: দেশে যক্ষ্মায় চিকিৎসাধীন রোগীদের প্রতি হাজারে একজন প্রাণঘাতী এইচআইভি/এইডস রোগে আক্রান্ত। এই আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশই পুরুষ। যক্ষ্মায় আক্রান্ত প্রায় ১২ হাজার রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে এমন তথ্য পেয়েছে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান (নিপসম)।

নিপসমের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজের নেতৃত্বে সাত মাসব্যাপী এ গবেষণা পরিচালনা করা হয়। আজ সোমবার বেলা ১১টায় নিপসম কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন তিনি। সাংবাদিকেরা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।

গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে চিকিৎসাধীন ১২ হাজার ৬৫ জন যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে ১২ জনের শরীরে এইচআইভি/এইডসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশই পুরুষ। আর ৪৩ দশমিক ০৮ শতাংশ নারী ও শূন্য দশমিক ২ শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গ।

দেশে ৩৫ লাখের বেশি যক্ষ্মা রোগী রয়েছে। গত বছরই ৩ লাখ নতুন করে যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত হয়েছে বলেও গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে।

অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ বলেন, দেশে যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে কী পরিমাণ এইচআইভি/এইডস ছড়িয়েছে তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই কারণেই মূলত জরিপটি চালানো হয়। জরিপটি গত বছর জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় যাঁরা চিকিৎসাধীন, তাঁদের ওপরই কেবল এই জরিপ চালানো হয়েছে। এতে দেশের ৯০ হাজার যক্ষ্মা রোগীর মধ্যে ১২ হাজারের অধিক রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

নিপসম পরিচালক বলেন, যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ পেলে চিকিৎসায় মারাত্মক ব্যাঘাত তৈরি করবে। এইচআইভি রোগীর ক্ষেত্রে চিকিৎসাতেও সমস্যা হবে। সংখ্যার হিসাবে আক্রান্ত কম হলেও চিন্তার বিষয় হলো–আক্রান্তদের বড় অংশই ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম।

বাংলাদেশে এইডস নিয়ে কাজ করে ইউনিসেফ। তাদের দেওয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশের ৬৪ জেলায়ই ছড়িয়েছে এইডস। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের জেলাগুলোতে এই বিষয়ে নজরদারি সুযোগ সীমিত।

১৯৮৯ সালে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভিতে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে ১০,২০, ১০০ বা ২০০ জন করে নতুন রোগী প্রতিবছর শনাক্ত হয়েছে। এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ২০০১ সালের তুলনায় ২০১১ সালে দ্বিগুণ হয়েছিল। কিন্তু এ রোগের পরীক্ষা করানো ও চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো মানুষের মাঝে সংকোচ রয়েছে। সরকার বিনা মূল্যে সেবা দিলেও ৭০ শতাংশের বেশি মানুষের কাছে এই সেবা পৌঁছানো যায়নি। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের এইডস নির্মূল লক্ষ্য অর্জন ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

কিডনি রোগীর বন্ধু কামরুল

কবিরাজিসহ প্রথাগত চিকিৎসার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

শীতে খিচুড়ি কেন খাবেন

এই শীতে কেন খাবেন তেজপাতা ও লবঙ্গ চা

ঘুমের ঘোরে খাওয়া রহস্যময় ও জটিল এক স্বাস্থ্য সমস্যা

যে ছয় কারণে দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশি হয়

ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরু করার আগে

ভারতে চিকিৎসকদের জন্য হাতে প্রেসক্রিপশন লেখার নতুন নিয়ম

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি: অর্থায়ন বন্ধে যক্ষ্মা বিস্তারের শঙ্কা

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ