অক্টোবর স্তন ক্যানসার সচেতনতার মাস। সচেতন থেকে ক্যানসারের ঝুঁকি মোকাবিলা করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই জানা যায় না ঠিক কী কারণে ক্যানসার হয়। জিন মিউটেশন মা-বাবা থেকে সন্তানের শরীরে স্থানান্তরিত হতে পারে। বায়োলজিক্যালি ক্যানসারের জন্য কোষের ক্ষতিগ্রস্ত ডিএনএকে দায়ী করা হয়। ডিএনএর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণ জেনেটিক বা পরিবেশগত উভয়ই হতে পারে। স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি অপরিহারযোগ্য ও পরিহারযোগ্য।
- শারীরিক ক্রিয়াকলাপ: কম শারীরিক পরিশ্রম ও অলস জীবনযাপন স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়।
- অতিরিক্ত ওজন: অতিরিক্ত ওজন স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। মেনোপজের পরবর্তী সময়ে ঝুঁকি আরও বাড়ে।
- খাদ্যাভ্যাস: খাবারে চর্বি ও প্রাণিজ আমিষের পরিমাণ বেশি থাকলে এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার বেশি খেলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
- অ্যালকোহল: যত বেশি অ্যালকোহল পান করা হয়, স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি তত বাড়ে।
- সন্তান গ্রহণ ও স্তন্যপান: যারা দেরিতে সন্তান নেয় বা যাদের সন্তান হয় না, সন্তান বুকের দুধ খায় না, তাদের স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।
- রেডিয়েশন থেরাপি: ৩০ বছরের আগে বুকে রেডিয়েশন থেরাপি নিলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
- জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি: দীর্ঘদিন বড়ি খেলে বা হরমোন ইনজেকশন নিলে স্তন ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
- যৌথ হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি: মেনোপজের জন্য নির্ধারিত যৌথ হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি নিলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে।
ডা. মো. সেতাবুর রহমান, কনসালট্যান্ট, ল্যাবএইড ক্যানসার হাসপাতাল ব্রেস্ট, খাদ্যনালি ও কোলোরেক্টাল সার্জন,অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগ,জাতীয় ক্যানসার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল।