সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই কুসুম গরম পানিতে মধু গুলিয়ে খাওয়ার একটা প্রবণতা রয়েছে; বিশেষ করে শীতের দিনে। আবার সুস্বাস্থ্যের জন্যও এই টোটকা এখন অনেকেই দারুণ মেনে চলেন। তবে যাঁরা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন, তাঁরা এই মধু একটু এড়িয়ে গেলে ভালো।
যদিও সাধারণ ধারণা অনুযায়ী, মধু ভীষণ উপকারী একটি খাবার, যা কিনা সব বয়সের সবাই খেতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। তবে এই ভাবনায় খানিকটা ভুলও আছে।
মধু ফ্রুকটোজ, সরাসরি সিম্পল সুগার নয়। এটা ভাঙতে চিনির চেয়ে বেশ সময় লাগে। তবে মধু হচ্ছে চিনির কাছাকাছিই গুণসম্পন্ন খাবার। সুতরাং যাঁদের ইনসুলিন রেসিসট্যান্স আছে বা যাঁরা ওজন ঠিক রাখতে চান, তাঁরা কুসুম গরম পানিতে মধু যোগ করে না খেলেই ভালো করবেন। সে ক্ষেত্রে হালকা গরম পানিতে এক থেকে দেড় চা-চামচ ফ্লাক্স সিড, এক চিমটি সৈন্ধব লবণ ও একটু লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন। বলে রাখা ভালো, সকালে এটা খাওয়ার পর প্রথম এক ঘণ্টা কিছু না খাওয়াই উত্তম। এই পানীয়কে যথেষ্ট সময় দিতে হবে শরীরে কাজ করার জন্য।
অন্যদিকে যাঁদের ডায়াবেটিস নেই, তাঁরা মধু খেতে পারবেন। মধু ভালো, শীতের সময় আরও ভালো। তবে যাঁরা এ সময়ে ওজন কমাতে চাইছেন, ইতিমধ্যে যাঁদের ইনসুলিন রেসিসট্যান্স তৈরি হয়ে গেছে, তাঁদের ক্ষেত্রে মধু বা এ-জাতীয় মিষ্টি খাবার যা আছে, সেগুলো সকালের প্রথম খাবারে খাওয়া যাবে না। শরীর গরম রাখতেও বারবার মধু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
লেখক: নিউট্রিশনিস্ট ও হোলস্টিক লাইফস্টাইল মোডিফায়ার