ঘাম একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম স্বাভাবিক নয়। বিভিন্ন কারণে মানুষের অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে। এটি দূর করতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তবে ঘামের অস্বস্তি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কিছু বিষয় মানতে পারেন।
নিয়মিত স্নান
নিয়মিত স্নান করলে শরীরে ব্যাকটেরিয়া জমতে পারে না। স্নানের পর শরীর শুকনো করে মুছে নিন; বিশেষ করে পায়ের আঙুলের ফাঁকে ফাঁকে, হাঁটুর ভাঁজে ও হাতের কনুইয়ের ভাঁজে ভালোভাবে মুছে নিতে হবে।
সঠিক জুতো ও মোজা
প্রাকৃতিক উপকরণ, যেমন চামড়ার জুতো পরলে পা সহজে ঘামে না। মোজা পরতে হলে বেছে নিন সুতির মোজা। সিনথেটিক মোজায় পা ঘেমে যায় আর মোজাও দুর্গন্ধ ছড়ায়। অফিসে গেলে এক জোড়া বাড়তি মোজা সঙ্গে রাখুন, যাতে প্রয়োজনে পাল্টে নেওয়া যায়।
খালি পায়ে হাঁটুন
বাসায় থাকলে মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটুন। অফিসে মাঝে মাঝে জুতো খুলে রেখে পায়ে বাতাস লাগতে দিন। ঘাম শুকিয়ে যাবে। আরাম বোধ হবে।
আরামদায়ক কাপড়
যাঁরা অনেক বেশি ঘামেন, তাঁদের সুতির নরম কাপড় পরা উচিত। এসব কাপড় পরলে বাতাস সহজে শরীরে লাগে বলে ঘাম দ্রুত শুকিয়ে যায়। অফিসে, ব্যায়াম করার সময়, রান্নার সময় ও রাতে ঘুমাতে গেলে সুতির ঢিলেঢালা পোশাক পরলে আরাম পাওয়া যাবে।
স্ট্রেস কমান
প্রচণ্ড স্ট্রেস থেকে প্রচুর ঘাম হতে পারে। স্ট্রেস কমাতে যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন করলে উপকার পাওয়া যায়। এগুলো স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ঘাম কম হয়।
প্রচুর পানি পান
যাঁরা প্রচুর ঘামেন, তাঁদের উচিত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা। কারণ ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। পর্যাপ্ত পানি পান না করলে শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে।
সূত্র: মেয়ো ক্লিনিক অবলম্বনে