সকালে ঘুম থেকে উঠেই আমাদের প্রথম কাজ দাঁত ব্রাশ করা। নিয়ম করে প্রতিদিন সকালে, আবার অনেকে সকাল ও রাতে দাঁত ব্রাশ করছি। তারপরও দাঁতের কিছু না
কিছু সমস্যা হচ্ছেই! দাঁত তো ব্রাশ করছি, কিন্তু সেটা কি সঠিক নিয়মে হচ্ছে?
- ভালো ব্র্যান্ডের নরম ব্রিসেলের ব্রাশ ব্যবহার করবেন। প্রথমে ব্রাশ পানিতে ভিজিয়ে তাতে অল্প পরিমাণ ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট লাগিয়ে ওপর-নিচ করে ব্রাশ করবেন। এতে দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্যকণা বের হয়ে যাবে।
- ব্রাশ করার আগে ডেন্টাল ফ্লস দিয়ে দুই দাঁতের ফাঁকে ফ্লসিং করে নিন। তারপর কুলকুচি করে ব্রাশ করুন।
- দুই পাটির দাঁত একসঙ্গে করে ব্রাশ দাঁতের সঙ্গে ৪৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে রেখে আলতোভাবে ওপর-নিচ করে দাঁত ব্রাশ করবেন।
- ছোট ছোট বৃত্তের মতো করে ব্রাশ করতে হবে। দাঁতের ভেতরের দিকে দাঁত ও মাড়ির সংযোগস্থলে বৃত্তাকারে আলতো করে দাঁত ব্রাশ করতে হবে।
- তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করতে হবে। দীর্ঘদিন ব্যবহারে ব্রাশের ব্রিসল বাঁকা হয়ে গেলে তা পরিবর্তন করতে হয়।
- দীর্ঘ সময় নিয়ে দাঁত ব্রাশ করার প্রয়োজন নেই। বেশি জোরে ও দ্রুত ব্রাশ করা থেকেও বিরত থাকুন। ব্রাশের আঘাতে যেন মুখগহ্বরের ভেতরে ঝিল্লির পর্দা ক্ষতিগ্রস্তনা হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
- দুই মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করা ভালো। জরিপ বলে, বেশির ভাগ মানুষ ৩০ থেকে ৪৫ সেকেন্ডেই দাঁত ব্রাশের পাট চুকিয়ে ফেলেন। ফলে পেরিওডনটাইটিস ও জিনজিভাইটিস নামক জটিলতা দেখা দিতে পারে। আবার মুখে পুরু প্লাকের আস্তর থেকে ধমনিতেও প্লাক জমতে পারে।
- প্রতিদিন সকালে নাশতা করার পর ও রাতে খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করতে হয়। অনেকে ঘুম থেকে উঠেই দাঁত ব্রাশ করেন, এটার দরকার নেই।
বছরে অন্তত একবার একজন দাঁতের চিকিৎসকের কাছে যান ও পরামর্শ নিন।
লেখক: ডেন্টাল সার্জন, সিকদার ডেন্টাল কেয়ার, ঢাকা