স্ট্রোকের লক্ষণ চিনুন, স্ট্রোক সম্বন্ধে জানুন। আর লক্ষণ চিনে স্ট্রোক মনে হলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন। কারণ মুহূর্তের তৎপরতা বাঁচাতে পারে জীবন। কোনো কারণে মস্তিষ্কের কোনো অংশের রক্ত সরবরাহ থেমে গেলে সে এলাকার কোষগুলো নিস্তেজ হতে হতে এক সময় মরে যায় বা অকেজো হয়ে যায়। এটাই স্ট্রোক।
বিশ্ব স্ট্রোক সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথভাবে বলেছে, প্রতি চারজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মধ্যে একজন স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর ফলে হচ্ছে প্যারালাইসিস। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অনেকটাই দায়ী স্ট্রোকের জন্য। এটি বয়স্কদের রোগ হলেও আজকাল তরুণেরাও এর আক্রমণ থেকে বাদ যাচ্ছেন না।
স্ট্রোক হয়ে গেলে রোগীর বেঁচে থাকা বা দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য সময় খুবই মূল্যবান। মগজের টিস্যু আর লাখ লাখ নিউরন কর্মশক্তিহীন হতে থাকে স্ট্রোকের পর। সে ক্ষেত্রে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
কেন ঘটে এ ঘটনা
অনেক কারণ আছে স্ট্রোকের—
স্ট্রোক দুই ধরনের। একটি ইস্কিমিক স্ট্রোক, অন্যটি হেমোরেজিক স্ট্রোক।
আরও দুটি ধরন
আবার অল্প সময়ের জন্য রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে খুব অল্প সময়ের জন্য অজ্ঞান হওয়ার মতো ব্যাপার ঘটে। এটি হলো ট্রাঞ্জিয়েন্ট ইস্কিমিক অ্যাটাক বা টিআইএ। এটি হয়তো ঘটনার মুহূর্তে তেমন বিপজ্জনক কিছু নয়। তবে বারবার হলে বড় স্ট্রোক হতে পারে। ভয়ের কারণে হঠাৎ দৃষ্টি হারিয়ে ফেলাকে ব্ল্যাক আউট স্ট্রোক বলে। এর প্রভাব হতে পারে স্বল্প বা দীর্ঘ মেয়াদি।মগজের কোনো অংশে স্ট্রোক হলো আর কত দ্রুত এর জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হলো, এসবের ওপর নির্ভর করে এর মেয়াদ কাল। স্ট্রোক থেকে বেঁচে ওঠেন যারা, তাঁদের হতে পারে নানা ধরনের অক্ষমতা। চলা ফেরা বা কথা বলার সমস্যা এমনকি, চিন্তা ভাবনা বা অনুভূতির সমস্যাও হতে পারে। অনেকের কথা বলা বা চলা ফেরার স্থায়ী ক্ষতি হয়ে যায়। স্মৃতি আর বোধ বুদ্ধিও হয় নষ্ট। তাই স্ট্রোকের লক্ষণ বুঝতে পারলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
স্ট্রোকের লক্ষণ
স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ হলো এফএএসটি (FAST)—
অনেকের হতে পারে দৃষ্টি শক্তিতে পরিবর্তন এবং শরীরের ভারসাম্য হানি। হাত অবশ আর মুখ ঝুলে পড়া স্ট্রোকের বড় লক্ষণ।
আমাদের প্রতিদিনের অনেক অভ্যাস বাড়াতে পারে স্ট্রোকের ঝুঁকি। তাই কিছু অভ্যাস এড়ানো উচিত।
অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী: সাবেক অধ্যক্ষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ