হোম > স্বাস্থ্য

সমস্যা যখন মাথা ঘোরা

ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু 

মাথা ঘোরা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। ইংলিশে একে বলে ভার্টিগো। এটি এমন একটি অবস্থা, যেখানে মনে হয়, আক্রান্ত ব্যক্তি নিজেই ঘুরছেন বা তাঁর চারপাশ ঘুরছে। মাথা তুলতেই পারেন না অনেকে। সঙ্গে থাকে বমি ভাব ও বমি। অনেকের ক্ষেত্রে ঘামও হতে পারে। মাথা ঘোরার অনেক কারণ থাকলেও বেশির ভাগই মারাত্মক নয়। মাথা ঘোরার কারণকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

পেরিফেরাল
এটি সাধারণত নার্ভের জন্য হয়।

সেন্ট্রাল
এটি সাধারণত মস্তিষ্কের বিভিন্ন রোগের কারণে হতে পারে।

পেরিফেরাল কারণ বিনাইন প্যারোক্সিসমাল পজিশনাল ভার্টিগো (বিপিপিভি)
এটি খুব মারাত্মক নয়। চিকিৎসায় এটি পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তি হঠাৎ করে কোনো এক দিকে মাথা ফেরালে বা মাথা শুধু একটি নির্দিষ্ট দিকে ফেরালে মাথা ঘোরা শুরু হয়ে যায়। সাধারণত বিছানায় শুতে গেলে বা বিছানা থেকে উঠতে গেলে মারাত্মকভাবে মাথা ঘোরে। তবে মাথা ঘোরার স্থায়িত্ব খুব কম হয়, সাধারণত ১৫-৩০ সেকেন্ড।

অন্তঃকর্ণের প্রদাহ
সাধারণত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া অন্তঃকর্ণে সংক্রমণের ফলে মাথা ঘোরা দেখা দিতে পারে। এতে হঠাৎ করেই মাথা ঘোরা শুরু হতে পারে ও শ্রবণশক্তি কমে পেতে পারে। এ ধরনের মাথা ঘোরা একটু বেশি দিন ধরে থাকে। কিছুদিন পরপর হতে পারে।

মেনিয়ার্স ডিজিজ
এটিও কানের একটি রোগ। একসঙ্গে তিনটি উপসর্গ থাকে। মাথা ঘোরা, কানের মধ্যে ভোঁ ভোঁ শব্দ করা ও শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা কিছুদিন পুরোপুরি সুস্থ থাকেন।

অ্যাকোয়েস্টিক নিউরোমা
এটি স্নায়ুর টিউমার। এর জন্য অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে।

সেন্ট্রাল কারণ
মস্তিষ্কের সেরেবেলামের ইনফেকশন, রক্তক্ষরণ, রক্ত চলাচল কমে স্ট্রোক হলে মাথা ঘুরতে পারে। এ ক্ষেত্রে মাথা ঘোরার সঙ্গে অন্যান্য সমস্যা যেমন:

  • শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারা চোখে দেখার সমস্যা
  • হাত দিয়ে কোনো জিনিস ধরতে কষ্ট হওয়া
  • কথা জড়িয়ে যাওয়া

চিকিৎসকের প্রয়োজন যখন
মাথা ঘোরার সঙ্গে তীব্র মাথাব্যথা, একটি জিনিস দুটি দেখা, হাঁটতে সমস্যা হওয়া, কথা জড়ানো বা স্পষ্ট না হওয়া, শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিলে দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। চিকিৎসক পরীক্ষা করে দেখবেন কী কারণে মাথা ঘুরছে। বিনাইন প্যারোক্সিসমাল পজিশনাল ভার্টিগো হলে সাধারণত ওষুধের প্রয়োজন পড়ে না। চিকিৎসক কিছু ব্যায়াম শিখিয়ে দেবেন। এতে আপনি দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবেন। সেন্ট্রাল কারণে মাথা ঘুরলে চিকিৎসাপদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে। তাই দেরি না করে নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হওয়া ভালো।

লেখক: নিউরোলজিস্ট, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ

শীতে যেসব খাবার মন শান্ত রাখবে

পুরুষ বন্ধ্যত্ব: কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

শীতকালীন নানা রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন যেভাবে

রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে করণীয়

থাইরয়েড হরমোন কম থাকার লক্ষণ

ওষুধকে ফাঁকি দিতে মরার ভান করে ক্যানসার কোষ—গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য

সাধারণের স্বাস্থ্যসেবা: মিলিয়ে যাচ্ছে ‘সূর্যের হাসি’

ব্লাড ক্যানসার আর মরণব্যাধি নয়, জিন থেরাপিতে অভাবনীয় সাফল্য

অনেক গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক আর তেমন কাজ করছে না: গবেষণা