হোম > স্বাস্থ্য

শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ

ডা. গৈরিকা রায় গোস্বামী

শীতকালে কম তাপমাত্রার কারণে শিশুরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ভাইরাস সংক্রমিত সাধারণ সর্দিতে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। সাধারণত ২০০ ধরনের বিভিন্ন ভাইরাস সর্দি হওয়ার জন্য দায়ী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত করে রাইনো ভাইরাস।

শিশুদের সর্দি হওয়ার কারণ

  •  শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বড়দের থেকে কম। ফলে তারা সহজেই জীবাণুর আক্রমণের শিকার হয়।
  •  শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকায় নাসিকা রন্ধ্র শুষ্ক থাকে। এতে জীবাণু সহজে নিশ্বাসের সঙ্গে ফুসফুসে প্রবেশ করে শিশুদের সংক্রমিত করে।
  • অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করার মাধ্যমে সংক্রমণ ঘটে।
  • সাধারণ সর্দিতে আক্রান্ত কোনো ব্যক্তি শিশুর সংস্পর্শে এলে সংক্রমিত হতে পারে।

রোগের উপসর্গ

  • সর্দি, কাশি ও হাঁচি
  • নাক দিয়ে পানি পড়া
  •  নাক বন্ধ হয়ে থাকা
  • গলাব্যথা ও চুলকানিভাব হওয়া
  • হালকা জ্বর
  •  মাথাব্যথা
  •  চোখ দিয়ে পানি পড়া
  •  দুর্বলতা
  • বমি ও পাতলা পায়খানা

চিকিৎসা ও প্রতিকার

  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি, তরলজাতীয় খাবার ও ফলের জুস শিশুকে খাওয়াতে হবে।
  •  শিশু পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিচ্ছে কি না, সে বিষয়ে লক্ষ রাখতে হবে।
  • নাক বন্ধ দূর করতে স্যালাইন ড্রপ নাকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  •  ধুলোবালি ও ধোঁয়া থেকে দূরে রাখতে হবে।
  • জ্বর যদি ১০০ ডিগ্রি বা এর বেশি থাকে, তখন প্যারাসিটামল ট্যাবলেট খাওয়াতে হবে।
  • গলাব্যথার জন্য কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করতে হবে।

সাধারণ সর্দি বা ঠান্ডা লাগা ভাইরাসের আক্রমণে হওয়ার কারণে এটি নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এর উপসর্গ এবং ফ্লু-এ আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গের মিল থাকার কারণে যদি এটি ১০ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, তখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এবং তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।

কিডনি রোগীর বন্ধু কামরুল

কবিরাজিসহ প্রথাগত চিকিৎসার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

শীতে খিচুড়ি কেন খাবেন

এই শীতে কেন খাবেন তেজপাতা ও লবঙ্গ চা

ঘুমের ঘোরে খাওয়া রহস্যময় ও জটিল এক স্বাস্থ্য সমস্যা

যে ছয় কারণে দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশি হয়

ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরু করার আগে

ভারতে চিকিৎসকদের জন্য হাতে প্রেসক্রিপশন লেখার নতুন নিয়ম

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি: অর্থায়ন বন্ধে যক্ষ্মা বিস্তারের শঙ্কা

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ