মনজুড়ানো বাতাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চৈত্রের সূর্য তেজ ছড়াচ্ছে এখন। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড যানজট, ধুলোবালি, দূষিত বাতাস জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অব্যাহত রোগের প্রাদুর্ভাব। দীর্ঘ দুই বছর পর স্বাভাবিকভাবে পরিবেশের সঙ্গে মিশতে গিয়ে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। প্রতিবছর বসন্তের শুরুতে শিশুদের ভাইরাস জ্বর এবং বাতাসে ফুলের রেণু ও দূষণ বেড়ে যাওয়ার কারণে অ্যাজমাসহ শ্বাসজনিত অন্যান্য রোগ, যেমন ব্রঙ্কিওলাইটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদি বেড়ে যায়। আর গরমে দেখা দেয় ডায়রিয়া, কলেরার প্রকোপ। তবে এ বছর তা একটু তাড়াতাড়িই শুরু হয়েছে।
- বাইরে বের হওয়ার সময় শিশুকে মাস্ক পরান।
- এ সময় শিশুদের ফুলগাছ, পালিত পশুপাখি, বিড়াল ও কার্পেট থেকে দূরে রাখুন। এগুলো সচরাচর অ্যালার্জেন হিসেবে পরিচিত।
- ঘন ঘন হাত-মুখ ধোয়ার অভ্যাস ধরে রাখুন।
- জ্বর, ঠান্ডা-কাশি হলে শিশুকে স্কুলে বা অন্য শিশুদের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখুন।
- শিশু ঘেমে গেলে মুছে দিন। প্রয়োজনে কাপড় পরিবর্তন করতে হবে।
- শিশুর পর্যাপ্ত পানি ও তরলজাতীয় খাবার নিশ্চিত করুন। একটি শিশুর ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ছয়বার প্রস্রাব করা স্বাভাবিক। প্রস্রাব যাতে স্বাভাবিক থাকে, সেদিকে নজর দিতে হবে। কোনোভাবেই যেন পানিশূন্যতায় না ভোগে সেটা খেয়াল রাখুন।
- রুমের তাপমাত্রা যতটা সম্ভব আরামদায়ক রাখুন। প্রচণ্ড গরমের সময়টুকুতে সম্ভব হলে শিশুদের বাইরে বের হওয়া থেকে বিরত রাখুন।
- প্রতিদিন শিশুকে গোসল করান।
লেখক: বিশেষজ্ঞ, পেডিয়াট্রিক আইসিইউ, এভারকেয়ার হাসপাতাল, ঢাকা