হোম > স্বাস্থ্য

চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ বন্ধ নয়

ডা. লেলিন চৌধুরী

প্রশ্ন: আমার বয়স ৪০ বছর। ওজন ৯০ কেজি। উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি। বছরখানেক হলো আমার বুকের ডান দিকে মাঝে মাঝে হালকা ব্যথা হয়। খেয়াল করে দেখেছি, যেদিন কোনো কারণে পেটে একটু বেশি গ্যাস হয়, সেদিন ব্যথাটা দীর্ঘ সময় থাকে। না হলে হয়তো দুপুরের দিকে একটু হয়ে চলে যায়। আমি ফাস্টফুড খুব বেশি খাই না। পর্যাপ্ত পানি পান করি। এ বিষয়ে আমার করণীয় কী?
অনিক রহমান
কুমিল্লা

উচ্চতা এবং বয়স অনুযায়ী আপনার শরীরের ওজন অনেক বেশি। প্রথমত, আপনাকে ২০-২৫ কেজি ওজন কমাতে হবে। আপনি পুরো পেটের একটি আলট্রাসনোগ্রাম করাবেন। এতে পিত্তথলি ও লিভারের অবস্থা বোঝা যাবে। আপাতত ওমিপ্রাজল-২০ ক্যাপসুল দিনে দুবার খাওয়ার কিছুক্ষণ আগে খেতে শুরু করুন। আলট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

প্রশ্ন: তিন বছর আগে ডাক্তার আমাকে প্রেশারের ওষুধ দিয়েছিলেন। আমি এক বছর নিয়মিত খেয়েছি। তারপর সমস্যা অনুভব না করায় ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছি। এখন শরীরে তেমন কোনো সমস্যা নেই। তবে মাসে এক-আধবার হয়তো ঘাড়ের ডান দিকের রগ একটু টনটন করে। ঘুমের তেমন কোনো সমস্যা নেই। আমার কি আবার ওষুধ খাওয়া শুরু করা দরকার?
সারোয়ার রহমান
বরিশাল

উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাডপ্রেশারের ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শুরু বা বন্ধ করা উচিত নয়। একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আপনার জন্য সঠিক কাজ হবে।

প্রশ্ন: আমি একজন ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি। আমার বাবা দীর্ঘদিন ধরে হার্টের রোগে ভুগছেন। নিয়মিত ওষুধ খান। তাঁর বয়স ৬০ বছরের মতো। আমি জানতে চাই, হার্টের রোগে শুধু ওষুধ খাওয়াই সবকিছু কি না? ওষুধের সঙ্গে যোগব্যায়াম বা এ রকম কিছু করতে হবে কি না?
অনন্ত রহমান
মিরপুর, ঢাকা

হার্টের রোগসহ বেশির ভাগ রোগের চিকিৎসার তিনটি প্রধান স্তম্ভ রয়েছে। প্রথমটি হলো খাদ্য, দ্বিতীয় জীবনযাপনের ধরন এবং তৃতীয়টি হলো ওষুধ। তাই আপনার বাবাকে ওষুধের সঙ্গে নির্দেশিত খাবার এবং সক্রিয় জীবনযাপন বা  হাঁটাহাঁটি/ব্যায়াম করতে হবে।

প্রশ্ন: আমার বয়স ২৭ বছর, অবিবাহিত। শারীরিক সমস্যার কারণে ডাক্তার আমাকে অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স করতে বলেছেন। আমি কোর্স শেষ করেছি। কিন্তু ২ দিন সময়মতো ওষুধ খাওয়া হয়নি। দুবারের ওষুধ খাওয়ায় পার্থক্য হয়েছিল প্রায় ১৪ ঘণ্টা। এতে কোনো সমস্যা হবে কি না? এটাও জানতে চাই, অ্যান্টিবায়োটিকের কোর্স সঠিকভাবে না করলে কী কী সমস্যা হতে পারে?
শীলা বসাক
দিনাজপুর

অ্যান্টিবায়োটিক-জাতীয় ওষুধ সময়মতো সেবন করতে হয়। তবে আপনার যেটুকু অনিয়ম হয়েছে, তাতে বড় কোনো অসুবিধা হবে না। অ্যান্টিবায়োটিক-জাতীয় ওষুধ সঠিকভাবে না খেলে অথবা কোর্স পূর্ণ না করলে শরীরের ভেতরে থাকা রোগ-জীবাণু অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে আপনার সংক্রমণজনিত রোগের চিকিৎসায় এই অ্যান্টিবায়োটিকটি পূর্ণ বা আংশিক অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। এ জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক- জাতীয় ওষুধ খাওয়া জরুরি।

প্রশ্ন: একসময় আমরা শুনতাম, ওষুধের সঙ্গে পথ্য খেতে হয়। এখন বিষয়টি তেমন শোনা যায় না। ওষুধের সঙ্গে পথ্যের আসলেই কি কোনো সম্পর্ক আছে?
সোহেল আমান
মোহাম্মদপুর, ঢাকা

পথ্য হলো অসুখকালীন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যতালিকা। সাধারণভাবে অধিকাংশ রোগীর জন্য সুষম খাবারই যথেষ্ট। তাই আলাদা করে পথ্যের কথা বলা হয় না। কোনো রোগীর শরীরে সোডিয়াম কমে গেলে তাঁকে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ খেতে বলা হয়। তখন লবণ হচ্ছে তাঁর পথ্য। এভাবে রোগ অনুযায়ী খাবার বা পথ্যের পরামর্শ দেওয়া হয়।

মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিঠি ও ই-মেইলের মাধ্যমে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন আমাদের কাছে।

চিঠি পাঠানোর ঠিকানা
বিভাগীয় সম্পাদক
আজকের জীবন (জেনে নিই, ভালো থাকি)
আজকের পত্রিকা
বাড়ি-৮, সড়ক-২, ব্লক-সি, বনশ্রী
রামপুরা, ঢাকা

ই-মেইল: aj@ajkerpatrika.com

রেইনবো ডায়েট কী, সুস্বাস্থ্যের জন্য কেন দরকারি

ওজন কমাতে অনুপ্রেরণা ধরে রাখবেন যেভাবে

শীতে থাইরয়েড রোগীরা যা করবেন

সবজির পুষ্টিগুণ পাওয়ার সঠিক উপায়

ঝাঁকির কারণে শিশুর মস্তিষ্কে আঘাত

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে

প্রতিস্থাপনে শূকরের অঙ্গ একদিন মানব অঙ্গের চেয়ে উন্নত হতে পারে: বিশেষজ্ঞ

কিডনি রোগীর বন্ধু কামরুল

কবিরাজিসহ প্রথাগত চিকিৎসার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

শীতে খিচুড়ি কেন খাবেন