হোম > স্বাস্থ্য

দেশের ২৯ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথিতে আক্রান্ত

বাংলাদেশের ২৯ শতাংশ মানুষ ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি রোগে আক্রান্ত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) অনুষ্ঠিত ‘ডায়াবেটিস অ্যান্ড রেটিনা: ব্রিজিং দ্য গ্যাপ’ সায়েন্টিফিক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। 

আজ রোববার দুপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি এবং বাংলাদেশ ভেট্রিও–রেটিনা সোসাইটি যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। 

সেমিনারে জানানো হয়, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হলো রেটিনা অর্থাৎ চোখের ভেতরের পর্দা সদৃশ অত্যন্ত সংবেদনশীল অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। যার মাধ্যমে আলো বৈদ্যুতিক সংকেতে রূপান্তরিত হয়ে মস্তিষ্কে যায়। এই সংবেদনশীল পর্দা বা রেটিনা অনেক রক্তনালি দিয়ে বেষ্টিত। ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি বৃদ্ধি বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্লোবাল হেলথ রিপোর্টে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি (ডিআর), ডায়াবেটিসের একটি মাইক্রো ভাসকুলার জটিলতাকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে আলোকপাত করা হয়েছে। দ্রুত চিকিৎসা না করালে দৃষ্টিশক্তির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে এটি। 

সেমিনারে বলা হয়, ২০২০ সাল পর্যন্ত ১০ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ২০৪৫ সালের মধ্যে এই রোগী ১৬ কোটি ১০ লাখে উন্নীত হবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। 

বাংলাদেশেও ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী ৭৭ দশমিক ৩ শতাংশ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হয় টাইপ ১ ডায়াবেটিস থেকে, আর ২৫ দশমিক ১ শতাংশ ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি হয় টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে। এ ছাড়া ২৫–৩০ শতাংশ রোগী দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ে পড়েন ডায়াবেটিক ম্যাকুলার এডেমায়। 

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এ সময় বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহজাদা সেলিম ও বাংলাদেশ ভিট্রিও–রেটিনা সোসাইটির কার্যকরী সদস্য অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণসহ নানা রোগ প্রতিরোধে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এসএম আশরাফুজ্জামান।

কবিরাজিসহ প্রথাগত চিকিৎসার কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

শীতে খিচুড়ি কেন খাবেন

এই শীতে কেন খাবেন তেজপাতা ও লবঙ্গ চা

ঘুমের ঘোরে খাওয়া রহস্যময় ও জটিল এক স্বাস্থ্য সমস্যা

যে ছয় কারণে দীর্ঘস্থায়ী শুকনো কাশি হয়

ঠান্ডার সময় ব্যায়াম শুরু করার আগে

ভারতে চিকিৎসকদের জন্য হাতে প্রেসক্রিপশন লেখার নতুন নিয়ম

জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি: অর্থায়ন বন্ধে যক্ষ্মা বিস্তারের শঙ্কা

এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৬৬.৫৭ শতাংশ

শীতে যেসব খাবার মন শান্ত রাখবে