আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। এ বছর বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের মূল প্রতিপাদ্য, ‘আমাদের গ্রহ, আমাদের স্বাস্থ্য।’ এবারের লক্ষ্য, পৃথিবী এবং এখানে বসবাসকারী মানুষের মঙ্গলের বিষয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ। পরিবেশদূষণ বাড়ার ফলে ক্যানসার, অ্যাজমা, হৃদ্রোগের মতো রোগগুলোর ঝুঁকি বাড়ছে দিন দিন। ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে।
পরিবেশের অন্যান্য দূষণের মধ্যে আমাদের দেশে বেড়েছে বায়ুদূষণ। ফলে তা পরিবেশের জন্য তো বটেই, মানুষের স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সুস্থ থাকতে তাই ব্যক্তিগত সাবধানতা অবলম্বন ভীষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যখন বাতাস দূষিত এবং বৃষ্টি হচ্ছে, তখন মাটিতেও বাতাসে মিশে থাকা রাসায়নিক উপাদান মিশে যাচ্ছে। এ ছাড়া মাটি আরও নানাভাবেই দূষিত হচ্ছে। ফলে দূষিত বাতাস থেকে যে রাসায়নিক উপাদানগুলো মাটিতে চলে যাচ্ছে, সেগুলো ফল, সবজি ও অন্যান্য শস্যকেও দূষিত করছে। ফলে দৈনন্দিন খাবারের মাধ্যমে তা আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে, যা স্বাস্থ্যহানির কারণ।
এখন পালংশাকের মৌসুম না হলেও বাজারে পাওয়া যায় শাকটি। সেটির স্মুদি বানিয়ে পান করা যায় ডিটক্স পানীয় হিসেবে। পালংশাকের সঙ্গে আদা, কলা, বাদাম ব্লেন্ড করে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে স্মুদি। পালংশাক না পেলে শসা দিয়েও ডিটক্স পানীয় তৈরি করা যায়। পানিসমৃদ্ধ শসা ও পুষ্টিগুণে ভরপুর পুদিনা স্বাস্থ্যকর খাবার। একটি বড় জারে পানি নিয়ে তাতে কয়েক টুকরো শসা ও তাজা পুদিনাপাতা দিয়ে এটি কিছু সময়ের জন্য ঢেকে রাখুন। তারপর সে পানি পান করুন।
এ ছাড়া সাহ্রি ও ইফতারে প্রচুর পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান শরীর বিষমুক্ত করতে সহায়তা করে।
লেখক: পুষ্টিবিদ ও হোলস্টিক লাইফস্টাইল মোডিফায়ার