বিশ্বকাপের ঠিক আগমুহূর্তে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে আজ মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলবে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। ক্লাব ফুটবলের পাট চুকিয়ে দুই দিন আগেই সব খেলোয়াড় এসে যোগ দিয়েছেন ক্যাম্পে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের হিসাবে আর্জেন্টিনার সঙ্গে আরব আমিরাতের যোজন যোজন দূরত্ব। আর্জেন্টিনা যেখানে র্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় দল, সেখানে আরব আমিরাত ৭০ নম্বর। দুই দলের এই পার্থক্য শক্তির জায়গায়ও দুই প্রান্তে দুই দল। সে অর্থে ম্যাচের ফল অবধারিতভাবে আর্জেন্টিনার পক্ষেই যাবে, এমনটাই ভাবছে সমর্থকেরা।
অন্যদিকে আরব আমিরাতের ফুটবল ইতিহাস বিশ্বফুটবলের দর্শকদের কাছে অনেকটাই অচেনা। বিশ্বফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরে একবারই নিজেদের নিয়ে যেতে পেরেছে তারা, সেটাও ১৯৯০ সালে। এরপর আর গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে নিজেদের নিয়ে যেতে পারেনি। এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট হিসেবেই ধরা হচ্ছে আর্জেন্টিনাকে।
পারফরম্যান্স বিবেচনায় শেষ ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে আর্জেন্টিনা আর একটিতে ড্র। আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলিতে শেষ তিন ম্যাচের তিনটিই জয় পেয়েছে তারা। অপর দিকে আমিরাতের শেষ ছয় ম্যাচে জয়ের রেকর্ড মাত্র একটিতে। উল্টো পরাজয়ই চার ম্যাচে। আর ড্র একটিতে। আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচের সবশেষ তিনটির একটিতেও জয় পায়নি আমিরাত।
আমিরাতের বিপক্ষে খেলার আগে পরশু ও গতকাল দর্শকদের সামনে অনুশীলনও করেছেন মেসি-দি মারিয়ারা। অনুশীলনেও ছিল ঘটনাবহুল। এত প্রিয় ফুটবল তারকাদের একসঙ্গে দেখতে পেয়ে ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছায় এক দর্শক মাঠেও ঢুকে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে ধরে নিয়ে যান। আর্জেন্টিনার মতো দলকে ঘিরে দর্শকদের আগ্রহও তেমনই। দল হিসেবেও তারা আছে দারুণ ফর্মে। টানা ৩৫ ম্যাচ অপরাজিত রয়েছে দলটি। আমিরাতের বিপক্ষে জয় ও বিশ্বকাপে সৌদি আরবের বিপক্ষে জয় পেলেই টানা ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ইতালির রেকর্ডে ভাগ বসাবে মেসিরা। তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়ের মিশনে নামার আগে তাই আমিরাতের বিপক্ষে বিশ্বকাপের দলই নামাবেন লিওনেল স্কালোনি।
চোটের কারণে আর্জেন্টিনা দল থেকেও ছিটকে গেছেন মিডফিল্ডার লো সেলসো। আমিরাতের বিপক্ষে জয়ের চেয়ে কোনো খেলোয়াড়ই চোটে যেন না পড়ে, সেদিকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন আলবিসেলিস্তের কোচ।
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন: