হোম > পরিবেশ

বজ্রপাতে কী করবেন, কী করবেন না

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: সাধারণত এপ্রিল থেকে মে মাসে বেশি বৃষ্টিপাত হয়। বাংলাদেশে প্রতি বছর এই সময় বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। কিছু নিয়ম মানলে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।

মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যে বজ্রপাতে নেত্রকোনায় আটজন, ফরিদপুরে চারজন এবং ময়মনসিংহ ও সুনামগঞ্জে একজন করে মোট ১৪ জন মারা গেছেন।

বজ্রপাতে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না, সে বিষয়ে একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

বজ্রপাতে করণীয়:

বজ্রপাতের সময়সীমা সাধারণত ৩০-৪৫ মিনিট স্থায়ী হয়। এই সময় ঘরে অবস্থান করুন।

ঘনকালো মেঘ দেখা দিলে ঘরের বাইরে বের হবেন না। অতি জরুরি প্রয়োজনে রাবারের জুতা পরে বের হতে পারেন।

বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গা, খোলা মাঠ বা উঁচু স্থানে থাকবেন না।

বজ্রপাতের সময় ধানখেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি পায়ের আঙুলের ওপর ভর দিয়ে এবং কানে আঙুল দিয়ে মাথা নিচু করে বসে থাকুন।

যত দ্রুত সম্ভব দালান বা কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন। টিনের চালা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।

উঁচু গাছপালা, বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার বা ধাতব খুঁটি, মোবাইল টাওয়ার থেকে দূরে থাকুন।

বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে অবস্থান করলে গাড়ির ধাতব অংশের সঙ্গে শরীরের সংযোগ ঘটাবেন না। সম্ভব হলে গাড়িটি নিয়ে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে আশ্রয় নিন।

বজ্রপাতের সময় বাড়িতে থাকলে জানালার কাছাকাছি বা বারান্দায় থাকবেন না। জানালা বন্ধ রাখুন এবং ঘরের ভেতরে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম থেকে দূরে থাকুন।

বজ্রপাতের সময় মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ল্যান্ডফোন, টিভি, ফ্রিজসহ সকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং এগুলো বন্ধ রাখুন।

বজ্রপাতের সময় ধাতব হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে প্লাস্টিকের বা কাঠের হাতলযুক্ত ছাতা ব্যবহার করতে পারবেন।

বজ্রপাতের সময় শিশুদের খোলা মাঠে খেলাধুলা থেকে বিরত রাখুন এবং নিজেরাও বিরত থাকুন।

বজ্রপাতের সময় ছাউনিবিহীন নৌকায় মাছ ধরতে যাবেন না। এ সময় সমুদ্র বা নদীতে থাকলে মাছ ধরা বন্ধ রেখে নৌকার ছাউনির নিচে অবস্থান করুন।

বজ্রপাত ও ঝড়ের সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করবেন না।

প্রতিটি বিল্ডিংয়ে বজ্র নিরোধক দণ্ড স্থাপন নিশ্চিত করুন।

খোলাস্থানে অনেকে একত্রে থাকার সময় বজ্রপাত শুরু হলে প্রত্যেকে ৫০ থেকে ১০০ ফুট দুরে ‍দুরে সরে যান।

কোনো বাড়িতে যদি পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না থাকে তবে সবাই এক কক্ষে অবস্থান না করে আলাদা আলাদা কক্ষে যান।

বজ্রপাতে কেউ আহত হলে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতো করেই চিকিৎসা করতে হবে। প্রয়োজনে দ্রুত চিকিৎসককে ডাকতে হবে বা হাসপাতালে নিতে হবে। বজ্রপাতে আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎস্পন্দন ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে নিতে হবে।

যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে ১০৯০ নম্বরে ডায়াল করে বিনা মূল্যে দুর্যোগের আগাম বার্তা জানা যাবে।

১০৯০ নম্বরে ফোন করার পর সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য আবহাওয়া বার্তা শুনতে ১, নদী বন্দরগুলোর জন্য সতর্ক সংকেত শুনতে ২, দৈনন্দিন আবহাওয়া বার্তা পেতে ৩, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত শুনতে ৪ এবং বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়া-কমার তথ্য জানতে ৫ চাপতে হবে।

আজ ঢাকার আবহাওয়া কেমন থাকবে জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন: দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণে বছরে প্রাণ হারাচ্ছে ১০ লাখ মানুষ

ঢাকার বাতাস সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর, আজও দূষণে শীর্ষে দিল্লি

বেড়েছে ঢাকার তাপমাত্রা, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

ঢাকায় আজ সকালে তাপমাত্রা ১৬.৬

ঢাকায় পড়েছে হালকা শীত

নতুন তথ্য বলছে, আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি উষ্ণ হয়েছে পৃথিবী

দূষণ বাড়ছে বাতাসে, যেসব সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন

ঢাকায় তাপমাত্রা কমতে পারে

বিলুপ্তি থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাঘের ফিরে আসার গল্পটি রুদ্ধশ্বাস