মুকেশ আম্বানির জামনগর বাংলোতে শিগগিরই শোভা পাবে দুটি দুর্লভ জলপাইগাছ। ১৮০ বছর বয়সী জলপাইগাছ দুটি প্রায় তিন বছর আগে স্পেন থেকে আনা হয়। এরপর সেটি অন্ধ্র প্রদেশের গৌতমী নার্সারিতে লালনপালন করা হচ্ছিল। গত বুধবার (২৪ নভেম্বর) গাছ দুটি নিয়ে একটি ট্রাক গুজরাটের উদ্দেশে রওনা হয়। পাঁচ দিনের যাত্রা শেষে সেগুলো পৌঁছাবে জামনগর বাংলোতে।
গাছ দুটির দাম কত সে সম্পর্কে তথ্য জানাতে অস্বীকার করেছে গৌতমী নার্সারি। তবে বিভিন্ন সূত্রের ইঙ্গিতে অনুমান করা যায়, আম্বানিরা জলপাইগাছ দুটির জন্য পরিবহনসহ প্রায় ৮৫ লাখ রুপি খরচ করেছে।
অন্ধ্রের কাদিয়ামের গৌতমী নার্সারির স্বত্বাধিকারী মারগানি বীরবাবু বলেন, ‘তাঁরা প্রায় এক সপ্তাহ আগে অর্ডার পেয়েছিলেন। একজন স্থপতি আমাদের আম্বানির কথা বলেন। রিলায়েন্সের কর্মীরা গত সপ্তাহে অর্ডার দেন। তাঁরা বারবার তাগাদা দিচ্ছিলেন। আমাদের বলা হয়েছিল যে আম্বানির ছেলে তাঁদের নতুন বাংলো সাজানোর জন্য জলপাইগাছ লাগাবেন।’
প্রতিটি গাছের ওজন প্রায় দুই টন। মাটিসহ শিকড় খুব সাবধানে প্যাকেট করে ট্রাকে লোড করা হয়। ট্রাকে গাছগুলো লোড করতে ২৫ জনের একটি দল এবং হাইড্রোলিক ক্রেন লেগেছিল। সাবধানতার কারণে ট্রাক চলবে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার। ফলে জামনগর পৌঁছাতে প্রায় পাঁচ দিন সময় লাগবে।
বীরবাবু বলেন, ‘আম্বানিরা একটি চিড়িয়াখানা বানাচ্ছেন। সেখানে একটি সম্পূর্ণ বাস্তুতন্ত্র তৈরি করা হচ্ছে। তাঁদের চাহিদামতো বিভিন্ন প্রজাতির বিরল গাছ সংগ্রহ করে দিচ্ছি।’
বাবু আরও বলেন, ‘জলপাইগাছকে পবিত্র বলে মনে করা হয়। এই প্রজাতির গাছ অনেক দিন বাঁচে। গাছটি সমৃদ্ধি আনতে পারে বলে বিশ্বাস করা হয়। এমন আকার এবং কাঠামোর একটি গাছ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। এটা অত্যন্ত বিরল।’
দুটি জলপাইগাছের সঙ্গে আম্বানিদের নার্সারির জন্য আরও এক ডজন গাছ এবং গুল্মও পাঠিয়েছেন বীরবাবু। আম্বানির অর্ডারের পর ব্যবসার নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বীরবাবুর। সারা দেশ থেকে বেশ কয়েকটি করপোরেট কোম্পানি, রিসোর্ট এবং হোটেল থেকে অর্ডার পেতে শুরু করেছেন তিনি। এই নার্সারিতে লালনপালন করা গাছ হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও শোভা পাচ্ছে।