নাটক কিংবা সিনেমা, সব মাধ্যমেই কমেডি দিয়ে দর্শকদের হাসিয়েছেন, নির্মল আনন্দ দিয়েছেন অভিনেতা মোশাররফ করিম। এবার তিনি আসছেন স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান হয়ে। শরাফ আহমেদ জীবনের ‘ডিমলাইট’ নামের ওয়েব ফিল্মে এমন চরিত্রে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে। সিনেমাটির গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন নাহিদ হাসনাত। শিগগির ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে মুক্তি পাবে ডিমলাইট।
কমেডিকে আশ্রয় করে একজন পুরুষের মিডলাইফ ক্রাইসিসের মতো সমস্যা দেখানোর চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, ‘প্রচুর আলো এবং ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিছু দেখা যায় না। কিছু দেখতে চাইলে পরিমিত আলো প্রয়োজন। আমাদের জীবনে নানা সমস্যা আছে, সেগুলোর কিছু দেখা যায়, কিছু দেখা যায় না। সেই দেখতে না পাওয়া সমস্যাগুলো সহজভাবে দর্শকদের দেখাতে প্রয়োজন ডিমলাইট।’
ডিমলাইটের গল্পটিকে মোশাররফ করিম দেখছেন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে। তাঁর মতে, জীবনে নানা ধরনের আবরণ পড়ে। নিত্যনৈমিত্তিক আবরণ থেকে শুরু করে চিনি, টুথপেস্ট, বাচ্চার স্কুলের বেতনের আবরণ। সেই আবরণে ঢাকা পড়ে সম্পর্ক। সেখানে থাকে না ফুল বা ফুলের ঘ্রাণ। মোশাররফ করিম বলেন, ‘এসব আবরণ ধীরে ধীরে ভালোবাসাকে ঢেকে ফেলে, প্রেমটাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আবার কিছু একটার ধাক্কার প্রয়োজন হয় এবং বোঝা যায় যে প্রাণভোমরাটা কোথায়। জীবনের মোরাল জিনিসটা খুব শান্ত, ঠান্ডা মেজাজি।’
মোশাররফ করিমের সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করেছেন তানজিকা আমিন, পারশা ইভানা, শরাফ আহমেদ জীবন প্রমুখ। নতুন এই ওয়েব ফিল্ম নিয়ে তানজিকা আমিন বলেন, ‘গল্পটি শোনার পর আমার মনে হয়েছিল, গল্পটা এ সময়ের এবং এখনই বলা উচিত। এমন ঘটনা আমার যেমন দেখা-জানা, দর্শকদেরও চেনা জীবনেরই গল্প।’
পারশা ইভানা বলেন, ‘আমরা যে লাইফটা লিড করি, তারই একটা চমকপ্রদ গল্প দেখা যাবে। সাধারণ ও সহজ, খুব ফ্রেশ একটা গল্প। যেখানে রয়েছে কনফিউশন, হিউমার, ক্রাইসিস ও রিলেটেবল।’
মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রজেক্টের ষষ্ঠ সিনেমা ডিমলাইট। এর আগে এই প্রজেক্ট থেকে মুক্তি পেয়েছে ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’, ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’, ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’, ‘ফরগেট মি নট’ এবং ‘৩৬-২৪-৩৬’।