ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সাল। সেই বছর বলিউড অভিনেত্রী আমিশা প্যাটেলের নামে চেক বাউন্স ও প্রতারণার অভিযোগ আনেন অজয় কুমার সিং নামে এক ব্যক্তি। কয়েক দিন আগেই এই মামলায় জামিন পান অভিনেত্রী। এত দিন পর এবার পুরো ঘটনা নিয়ে মুখ খুলছেন তিনি। ভারতীয় টেলিভিশন জুম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আমিশা জানিয়েছেন বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। স্রেফ মানুষের নজরে আসার জন্যই নাকি ওই প্রযোজক তাঁর নামে এই অভিযোগ এনেছিলেন।
গত শনিবার রাঁচির সিভিল কোর্টে এই চেক বাউন্স মামলায় আত্মসমর্পণ করেন আমিশা। কোর্টের সিনিয়র ডিভিশন বেঞ্চের বিচারক ডি. এন শুক্লা এদিন তাঁকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়ার পাশাপাশি আবারও ২১ জুন কোর্টে সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
জামিন পাওয়ার পরই এত বছর ধরে চলে আসা এই মামলা নিয়ে মুখ খোলেন আমিশা। জুম টিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তদের থেকে বহু বার্তা পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন। কিন্তু যখন থেকে আমার নামে এই মামলা করা হয়েছে, তখন থেকেই এ বিষয়ে আমি পাবলিকলি একটাও কথা বলিনি, আর বলবও না। আমার আইনের ওপর সম্পূর্ণ আস্থা আছে। আইন যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে, তা আমি মেনে নেব।’
আমিশা আরও বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে আমার এই নীরবতার অন্য মানে খুঁজে বের করছেন অজয় বাবু। আমার নীরবতার সুযোগ নিচ্ছেন তিনি। আমার বদনাম করে তিনি নিজে প্রচারের আলোয় আসতে চাইছেন। বাকিটা তো সবই আইনি প্রক্রিয়া। উনি এভাবেই সহজে নাম কিনতে চাইছেন।’
তিনি একই সঙ্গে তাঁর নামে আনা এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে দাবি করে বলেন, ‘আইনের ওপর আমার আস্থা আছে, আমি জানি আইন ঠিক এই বিষয়টা দেখবে এবং ন্যায় রায় দেবে। আমার বিরুদ্ধে এই মামলা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আনা হয়েছিল।’
আমিশা প্রযোজককে জানিয়েছিলেন, সিনেমাটি শেষ হওয়ার পর সুদ-আসলে সব ফেরত দেবেন। তবে ২০১৮ সালে তাকে ২.৫ কোটি রুপি ও ৫০ লাখ রুপির দুটি চেক দিলেও তা বাউন্স হয়। এ ঘটনার পরই আমিশা ও তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার ক্রণালের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ও ১২০ ধারায় মামলা দায়ের করেন প্রযোজক অজয় কুমার সিং।
প্রসঙ্গত, আগামী ১১ আগস্ট মুক্তি পেতে চলেছে আমিশার ‘গদর ২’। সিনেমাটি দিয়ে প্রায় পাঁচ বছর পর রুপালি পর্দায় ফিরছেন তিনি। ‘গদর’ সিনেমাটির এই সিকুয়েলে ফের একসঙ্গে দেখা যাবে সানি দেওল ও আমিশাকে।