ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ) ক্যাম্পাসে ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসব ‘নবান্নে বাঙালিয়ানা ২.০’ উদ্যাপিত হয়েছে। ডিআইইউ চেঞ্জ টুগেদার ক্লাবের আয়োজনে দিনব্যাপী চলা এই উৎসবে কৃষিভিত্তিক সংস্কৃতি, শিল্প-সংগীত, নাট্য পরিবেশনা ও জ্ঞানভিত্তিক আলোচনার এক বর্ণিল সমাহার সৃষ্টি হয়।
২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এ উৎসবে দেশের বিভিন্ন স্থানের ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। তাঁরা তাঁদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, লোকশিল্প ও কৃষি-সংস্কৃতির সৃজনশীল প্রদর্শনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসজুড়ে ছড়িয়ে দেন নবান্নের রঙিন আবহ।
উৎসবের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয় ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কৃষির অবদান’ শীর্ষক একটি সেমিনার। এতে বক্তারা বাংলার কৃষি ঐতিহ্য, নবান্নের সামাজিক-সাংস্কৃতিক গুরুত্ব এবং আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে মূল্যবান আলোচনা করেন।
সেমিনারের পাশাপাশি পল্লিমেলা, নকশিকাঁথা প্রদর্শনী, আঁকিবুঁকি, লোকসংগীত ও লোকনৃত্য দর্শকদের মুগ্ধ করছে। আয়োজকদের মতে, এই আয়োজন নতুন প্রজন্মকে বাংলার শিকড়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে এবং নবান্নকে ঘিরে ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসা আরও গভীর করছে।
দিনব্যাপী আয়োজনে বিভিন্ন বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ফলাফল অনুযায়ী, লোকচিত্র বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, দ্বিতীয় বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি, তৃতীয় আহছানউল্লা ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি।
লোকসংগীত বিভাগে প্রথম স্থান অর্জন করেছে মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, দ্বিতীয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি।
লোকনৃত্য বিভাগে প্রথম শান্ত-মারিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, দ্বিতীয় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি।
ডিআইইউ কর্তৃপক্ষ জানায়, এ আয়োজন ক্যাম্পাসে বাঙালিয়ানা, ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের এক অনন্য মিলনমেলা সৃষ্টি করেছে।