দিনাজপুরে বাবা ও সহোদর ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার ১৭ বছর পর একজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত বাঞ্ছারাম রায় (৫৭) পলাতক। ঘটনার সময় তাঁর বয়স ছিল ৪০ বছর। তাঁর বাড়ি দিনাজপুরের সদর উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের আমইর গ্রামে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, বঙ্কিম চন্দ্র রায়ের দুই ছেলে লোহারাম রায় ও বাঞ্ছারাম রায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলে আসছিল। ২০০৬ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে বাঞ্ছারাম রায় ছোরা দিয়ে বঙ্কিমচন্দ্র রায়কে আঘাত করেন।
এ সময় ছোট ভাই লোহারাম রায় বাবাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাঁকেও কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান বাঞ্ছারাম। দিনাজপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় লোহারাম রায়ের স্ত্রী কুমুতী রানী রায় বাদী হয়ে ভাশুর বাঞ্ছারাম রায়কে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় আসামি বাঞ্ছারাম রায়কে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর হাসনে ইমাম নয়ন সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক। আমরা হত্যার সঠিক বিচার পেয়েছি।’