গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বসতবাড়ির শৌচাগার থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, শিশুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর শৌচাগার রাখা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের ৩ ঘণ্টা পর ওই শিশুর পরিচয় শনাক্ত করে শিশুর মা মনোয়ারা খাতুন। এ ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শিশুর ভগ্নিপতি মাজাহারুল ইসলামকে আটক করেছে শ্রীপুর থানা-পুলিশ। তবে খুনের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছে নিহতের বোন ও আটকৃত ব্যক্তির স্ত্রী বিপাশা আক্তার।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১১টা দিকে পৌরসভার বেড়াইদের চালা গ্রামের জনৈক মনিরুজ্জামান শীতলের বাড়ি থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা-পুলিশ। এরপর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিকেল ৩টার দিকে ওই শিশুর ভগ্নিপতিকে আটক করে পুলিশ।
শৌচাগার থেকে উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম মো. তৌফিকুল ইসলাম (০৬)। সে নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার ছেলে। সে গত শুক্রবার তার বাবার সঙ্গে শ্রীপুরে আসে। তার বাবা ও মা একজন দিনমজুর।
আটক হওয়া ব্যক্তি মাজাহারুল ইসলাম (৩৮) নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলা সাহাপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করেন।
শিশুর মা মনোয়ারা খাতুন জানান, গত শুক্রবার সকালে নেত্রকোনা থেকে স্বামী-সন্তান নিয়ে কাজের খোঁজে শ্রীপুর আসেন। শ্রীপুর এসে শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা গ্রামের শ্রীপুর টেক্সটাইলের পেছনে সিদ্দিক মিয়ার বাড়িতে ওঠেন। রোববার সকাল ৯টা থেকে তাঁর ছেলে নিখোঁজ ছিল। মানুষের মুখে মুখে শুনে ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারেন তাঁর ছেলেকে খুন করা হয়েছে। তিনি ও তাঁর মানুষের বাড়িতে কাজ কর করেন বলে জানান তিনি।
নিহত শিশুর বোন বিপাশা আক্তার বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে যে ছবি দেখা যাচ্ছে সেটি আমার স্বামী মাজাহার হোসেনের ছবি না। আমার স্বামী কেন খুন করবে আমার ভাইকে।’
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শিশুকে খুনের সন্দেহে মাজাহারুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। সে নিহতের ভগ্নিপতি।’