মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন পরিদর্শক লিয়াকত আলি ও টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
এ ছাড়া ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৭ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে এই রায় দেন। হত্যাকাণ্ডের ১৮ মাসের মাথায় এ রায় দিলেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘ঠান্ডা মাথায়, ষড়যন্ত্রমূলক ও পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ব্যাপারে আদালত বলেন, ‘আদালত বলেছেন, হত্যা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, লাথি মারা, সহযোগিতায় হত্যা, মৃত্যু নিশ্চিত, আলামত নষ্ট, খুন ও মাদক মামলা করে অপরাধ করেছেন প্রদীপ। পাশাপাশি লিয়াকত গুলি করে হত্যা, নাটক সাজানো, হত্যার পরিকল্পনা করা, শাস্তিমূলক অপরাধ করেছেন।’
রায় শুনে আদালতের কাঠগড়ায় হট্টগোল শুরু হয়। তবে প্রদীপ ছিলেন নিশ্চুপ। বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত রায় শুনেই হাউমাউ করে কান্না জুড়ে দেন।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এপিবিএন চেকপোস্টে সিনহা হত্যার ঘটনা ঘটে। পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী তাঁকে গুলি করেন বলে মামলার তদন্তে উঠে এসেছে।
হত্যাকাণ্ডের চার দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হত্যা মামলা করেন। মামলায় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: