গ্রেপ্তার হওয়া মডেল ও অভিনেত্রীদের সঙ্গে কথিত ভিডিও থাকার কথা বলে ব্যবসায়ীদের ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। পুলিশের তালিকায় তাঁদের নাম আছে বলে চাঁদার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ এ ধরনের কোনো তালিকা করেনি।
তালিকার কথা বলে যারা বাণিজ্যে নেমেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মডেল ইস্যুতে এই চক্রটি সমাজের বিশিষ্টজনদের কাছে ফোন করে তালিকার তাঁদের নাম থাকার কথা বলে চাঁদা দাবি করছে। সোমবার পর্যন্ত তিনজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এই ধরনের চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার তথ্য পুলিশকে জানিয়েছে। একজন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। চাঁদা না দিলে গণমাধ্যমে তাঁর নাম প্রকাশ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এমন ঘটনায় অনেক ব্যবসায়ী আতঙ্কগ্রস্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, মডেল-অভিনেত্রী গ্রেপ্তারের পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমরা চাই না এমন আতঙ্ক ছড়াক। বিনা কারণে কারও সম্মানহানি না ঘটুক। কেউ যাতে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হন সে জন্য সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
অপরাধ না করলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু আইনে মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলো আইনের মধ্যে থেকে তদন্ত করছে পুলিশ। যদি ব্যবসায়ী কারও কাছে বা সমাজের কোনো নাগরিকের কাছে এমন তালিকার কথা বলে চাঁদা চেয়ে কেউ ফোন করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর অনুরোধ করেন তিনি। চাঁদা দাবির ফোনকল, অডিও বা ভিডিও থাকলে তা যেন তদন্তের স্বার্থে সংরক্ষণ করে রাখার পরামর্শ দেন ডিএমপি কমিশনার।