নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যৌতুকের টাকা না পেয়ে কাজল রেখা (২৪) নামের বাক্প্রতিবন্ধী এক গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল রোববার সকালে উপজেলার পিতলগঞ্জ এলাকার শীতলক্ষ্যা নদীতে কাজলকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় নৌকার মাঝি মনসুর হোসেন। তিনি দ্রুত স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করেন। পরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তিনি এখন আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে।
কাজল উপজেলার কেন্দুয়া এলাকার আম্বর আলীর মেয়ে। কাজলের পরিবার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। আটক ব্যক্তিরা হলেন ওই গৃহবধূর স্বামী জুলহাস মিয়া ও শাশুড়ি সাহেরা খাতুন।
কাজলের বোন আলেয়া বেগম বলেন, সাত বছর আগে জুলহাসের সঙ্গে কাজলের বিয়ে হয়। বিয়েতে যৌতুক হিসেবে এক লাখ টাকা, এক ভরি স্বর্ণ, সেলাই মেশিনসহ আসবাব দেওয়া হয়। তাঁদের তানজিলা (৪) নামে একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। কয়েক মাস ধরে কাজলকে আবারও যৌতুকের টাকা এনে দিতে নির্যাতন শুরু করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। টাকা দিতে না পারায় বিভিন্ন সময় মারধর করেছে তারা। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিচার সালিসও হয়েছে।
আলেয়ার অভিযোগ, হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল জুলহাস ও তাঁর পরিবার। তারা ভেবেছিল এভাবে মেরে ফেললে কেউ কিছু বুঝবে না। ঘরের ভেতরে মারলে তো দোষ তাদের ওপরেই পড়বে। বেঁচে যাওয়ায় এখন আসল ঘটনা বেরিয়ে এসেছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘এ ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা দুজন অভিযুক্তকে আটক করেছি। দ্রুতই মামলা গ্রহণ করা হবে।’