হোম > অর্থনীতি > বিশ্ববাণিজ্য

পাকিস্তানকে উদ্ধারে 'মুক্তহস্তে' ঋণ দেওয়া ঠিক কি না, ভারতের প্রশ্নের মুখে আইএমএফ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। ছবি: পিটিআই

পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার আগে আইএমএফকে গভীরভাবে পর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। পাকিস্তানের জন্য আর্থিক সহায়তার বিষয়টি পর্যালোচনার এক দিন আগে আজ বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, ‘আইএমএফ বোর্ডের উচিত ‘নিজেদের ভেতরে গভীরভাবে তাকানো’ এবং পাকিস্তানকে উদারভাবে সহায়তা দেওয়ার আগে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া।’

বিক্রম মিশ্রি প্রশ্ন তোলেন, গত তিন দশকে পাকিস্তানকে দেওয়া একের পর এক আইএমএফ বেইলআউট প্যাকেজের কার্যকারিতা কতটা এবং সেসব তহবিলের সঠিক ব্যবহার আদৌ হয়েছে কি না।

মিশ্রি জানান, ৯ মে আইএমএফ বোর্ড মিটিংয়ে ভারতের পক্ষে মত তুলে ধরবেন দেশটির নির্বাহী পরিচালক। তিনি বলেন, ‘আমাদের আইএমএফে একজন নির্বাহী পরিচালক রয়েছেন। আগামীকাল আইএমএফ বোর্ডের বৈঠক রয়েছে এবং আমি নিশ্চিত, আমাদের নির্বাহী পরিচালক সেখানে ভারতের অবস্থান পরিষ্কারভাবে তুলে ধরবেন। বোর্ড কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা এক জটিল প্রক্রিয়ার বিষয়। তবে আমি মনে করি, পাকিস্তানকে ঘিরে যেটা স্পষ্ট—যারা এই দেশকে বাঁচাতে উদারভাবে অর্থ ঢালে, তাদের সেটা নিজে থেকেই বোঝা উচিত।’

মিশ্রি আরও বলেন, গত তিন দশকে পাকিস্তানের জন্য বহু আইএমএফ প্রোগ্রাম অনুমোদিত হয়েছে, তবে সেগুলোর কয়টা সফলভাবে শেষ হয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।

আইএমএফের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ১৯৫০ সালে সদস্যপদ পাওয়ার পর থেকে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত ২৫টি আর্থিক সহায়তা চুক্তির আওতায় এসেছে। ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাকিস্তানের জন্য আইএমএফ থেকে প্রাপ্ত ঋণ ও অর্থায়নের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২৩ বিলিয়ন স্পেশাল ড্রইং রাইটস (এসডিআর)। বর্তমানে চলমান ৩৭ মাসের এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি (ইএফএফ) প্রোগ্রামের আওতায় মোট ছয়টি পর্যায়ে মূল্যায়ন হবে এবং প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের পরবর্তী কিস্তি ছাড় করার সিদ্ধান্ত ওই মূল্যায়নের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে।

বর্তমানে আইএমএফ বোর্ডে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন বিশ্বব্যাংকে অস্থায়ীভাবে নিযুক্ত দেশটির নির্বাহী পরিচালক পরমেশ্বরন আয়ার। তিনি ৯ মে অনুষ্ঠেয় গুরুত্বপূর্ণ বোর্ড বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এর আগে কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যমের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

একজন সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তা জানান, ভারত সরকার সম্প্রতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্ত বহুপক্ষীয় উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর (এমডিবি) যেমন বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করবে এবং তাদের এই বিষয়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবে।

এ ছাড়া ভারত চাইছে পাকিস্তানকে আবার ফাইন্যানশিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্সের (এফএটিএফ) ধূসর তালিকায় ফেরানো হোক। আন্তর্জাতিক সংস্থা এফএটিএফ অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধে নজরদারি চালায়।

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে ২৬ জন সাধারণ মানুষের প্রাণহানির পর ভারত এই ঘটনার জবাবে কূটনৈতিক ও আর্থিক নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে, যার লক্ষ্য পাকিস্তানের দিকে অর্থপ্রবাহ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা।

কুয়েতে গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করবে চীন, ৪.১ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি

ভারতের ওপর কেন ৫০ শতাংশ শুল্ক দিল মেক্সিকো, নয়াদিল্লির ক্ষতি কতটা

প্রথমবার চীনের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়াল

ভারতীয় রুপি এশিয়ার সবচেয়ে দুর্বল মুদ্রায় পরিণত হলো যেভাবে

রাশিয়া-ভেনেজুয়েলাকে মার্কিন হুমকি, সরবরাহ কমার শঙ্কায় ঊর্ধ্বমুখী তেলের দাম

পাকিস্তানে ২৫০ বিলিয়ন ডলারের ক্রিপ্টো ব্যবসা, দায়মুক্তির সুযোগ দিচ্ছে সরকার

তেলের গাড়ি বিদেশে পাঠিয়ে দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ি বাড়াচ্ছে চীন

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের ২০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

টিসিবির নতুন ৫ পণ্যের বিতরণ পেছাল

ট্যানারি শ্রমিকেরা মৌলিক শ্রম অধিকার থেকে বঞ্চিত: সমীক্ষা