সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২৫-২৬-এ সম্মাননা পেল দেশের ৪৯টি শীর্ষ ব্র্যান্ড। স্টিল, লবণ, চিনি, ভোজ্যতেল, স্টেশনারি, সিমেন্ট, আবাসন, টিভি চ্যানেলসহ মোট ৪৯টি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
গতকাল শনিবার রাজধানীর লো মেরিডিয়ান হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে করপোরেট অঙ্গনের শীর্ষ নির্বাহী, শিল্পপতি ও ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে এই পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২৫-২৬ শীর্ষক প্রকাশনাটির প্রচ্ছদও উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিবিউশনস কোম্পানি বাংলাদেশ (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ বিন তাজ বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত কঠোর মানদণ্ড মেনে বাংলাদেশে সুপারব্র্যান্ডস নির্বাচন করা হয়েছে। কেবল ধারাবাহিকতা, বিশ্বাসযোগ্যতা ও প্রাসঙ্গিকতায় আলাদা প্রমাণ রাখতে পারা ব্র্যান্ডগুলোই এই স্বীকৃতি পেয়েছে।’
সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘সুপারব্র্যান্ড হলো আস্থার, শ্রদ্ধার এবং গর্বের প্রতীক। এই ব্র্যান্ডগুলো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে আস্থা অর্জন করেছে এবং শিল্পে নতুন মানদণ্ড তৈরি করেছে।’
১৯৯৪ সালে যুক্তরাজ্যে যাত্রা শুরু করা সুপারব্র্যান্ডস বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাধীন ব্র্যান্ড মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান। একটি ব্র্যান্ড তখনই সুপারব্র্যান্ডস মর্যাদা অর্জন করে, যখন তা খাতে সর্বোচ্চ সুনাম ধরে রাখতে পারে এবং ভোক্তাদের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠে।
সুপারব্র্যান্ডস বাংলাদেশ ২০২৫-২৬ নির্বাচনে কাজ করেছে একটি বিশেষ ব্র্যান্ড কাউন্সিল। তারা ব্র্যান্ডের ঐতিহ্য, প্রাসঙ্গিকতা, গুণগত মান, ভোক্তার আস্থা ও টপ অব মাইন্ড অ্যাওয়ারনেসসহ ২০ নম্বরের মানদণ্ডে মূল্যায়ন করে বিজয়ী ব্র্যান্ডগুলো নির্ধারণ করেছে।
সুপারব্র্যান্ডস বইতে প্রতিটি স্বীকৃত ব্র্যান্ডের ইতিহাস, যাত্রা ও বৈশিষ্ট্য স্থান পাচ্ছে, যা বিজ্ঞাপন, বিপণন, ব্র্যান্ড ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা ও গণমাধ্যম পেশাজীবীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স হিসেবে কাজ করবে।
বিশ্বব্যাপী সুপারব্র্যান্ডস এখন পর্যন্ত ৯০টি দেশে প্রায় ৪৫ হাজার ২২১টি ব্র্যান্ডকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং ৬৪৫টিরও বেশি বই প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশে এটি এ পর্যন্ত পাঁচবার আয়োজন করা হয়েছে।