বাংলাদেশ পোশাক প্রস্ততকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সদস্যভূক্ত শতভাগ কারখানায় বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
তিনি বলেন, 'আমাদের কোনো কারখনায় বেতন-ভাতা বকেয়া নেই। সবাই শ্রমিকদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দিয়েছেন। একটি কারখানায় সঙ্কট ছিল, যেহেতু কারখানাটি দির্ঘদিন ধরে বন্ধ আছে। সেই কারখানার শ্রমিকেরাও সোমবার রাতে তাঁদের পাওনা বুঝে পেয়েছেন।'
বিজিএমইএ সূত্র জানিয়েছে, সংগঠনটির সদস্যভুক্ত সচল কারখানা এক হাজার ৯১২ টি। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে এক হাজার ৬৬৭টি ও চট্টগ্রামে ২৪৬ টি।
ঈদের পরপরই টানা ১৪ দিন বন্ধ থাকবে পোশাক কারখানা। এতে কী ধরনের সঙ্কট দেখা দেবে জানতে চাইলে ফারুক হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, এর ফলে ব্যবসায়িক ক্ষতির পাশাপাশি ঝুঁকিতে পড়বেন শ্রমিকেরাও।
তিনি বলেন, 'আমরা চেয়েছিলাম কারখানা চালু রাখতে। কিন্তু সরকার সিদ্ধান্ত দিয়েছে বন্ধ রাখার। এখন তো বন্ধই রাখতে হবে। তবে টানা ১৪ দিন কারখানা বন্ধ থাকলে বড় অঙ্কের রপ্তানি আদেশ হারাতে হবে। এমনিতেই করোনার প্রথম ধাক্কায় অনেক রপ্তানি আদেশ বাতিল হয়েছে। সেই রপ্তানি আদেশ ফিরে এসেছে। এছাড়া ইউরোপ এবং আমেরিকার শপিংমল এবং ব্র্যান্ডের ফ্লোর খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানে চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ সময় যদি আমরা পণ্য সরবরাহ করতে না পারি তাহলে ক্রেতারা অন্য দেশে চলে যাবে। এছাড়া হাতে কাজ না থাকলে অনেক কারখানার মালিক দেউলিয়া হয়ে পড়বেন। শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়েও সংকট তৈরি হতে পারে।'
ফারুক হাসান আরও জানান, 'আমরা শ্রমিকদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। সেটাও এখন বন্ধ হয়ে যাবে। অথচ শ্রমিকদের টিকা দেওয়াটা সবচেয়ে জরুরি। পাশাপাশি কারখানা চালু থাকলে শ্রমিকেরা অসুস্থ হলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পেতেন। যেহেতু কারখানা যেসব এলাকা, সেখানে প্রচুর হাসপাতাল, ক্লিনিক আছে। কিন্তু লম্বা ছুটিতে শ্রমিকেরা গ্রামে চলে যাচ্ছেন, সেখানে আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত চিকিৎসা তাঁরা নাও পেতে পারেন।'