হোম > অর্থনীতি > ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান

আইনের তোয়াক্কা না করে ইসলামী ইনস্যুরেন্সের সিইও আব্দুল খালেককে চাকরিচ্যুত

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুল খালেক মিয়াকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পত্রটি গত ২০ আগস্ট আব্দুল খালেক মিয়ার কাছে পাঠানো হয়। গত ২১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কাছে লিখিতভাবে এমন অভিযোগ করেছেন আব্দুল খালেক মিয়া।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিইও আব্দুল খালেক মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো রকম নোটিশ ছাড়াই আমাকে চাকুরি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমার চাকরির মেয়াদ ২০২৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রয়েছে।’

আইন অনুসারে আইডিআরএর অনুমোদন প্রাপ্ত কোনো সিইওকে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া চাকরিচ্যুত করা যায় না। বীমা আইন ২০১০ এর ৮০ ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে— (২) বীমাকারী কর্তৃক উপ-ধারা (১) এর অধীনে অনুমোদিত কোন মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতীত অপসারণ, চাকুরিচ্যুত বা বরখাস্ত করা যাইবে না এবং কর্তৃপক্ষ উক্তরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বীমাকারী বা এই বিষয়ে তৎকর্তৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তির শুনানী গ্রহণ ব্যতীত কোন সিদ্ধান্ত প্রদান করিবে না।’

লিখিত অভিযোগ অনুসারে, ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আব্দুল খালেক মিয়াকে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা পদে ৩ বছরের জন্য অনুমোদন করে আইডিআরএ। এই অনুমোদন দেয়া হয় ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আব্দুল খালেক মিয়াকে চাকরি থেকে ইস্তফা দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন কোম্পানিটির ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ।

এ বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পরামর্শক (মুখপাত্র) সাইফুন্নাহার সুমি আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ— দুটোই আইডিআরএর কাছে এসেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আব্দুল খালেক মিয়ার অভিযোগ, গত ১৭ আগস্ট কোম্পানির ভাইস-চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি ও হেড অব এইচআর–এডমিন চৌধুরী এহসানুল হক তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে চাপ প্রয়োগ করেন। অপরদিকে শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় ওই দিন (১৭ আগস্ট) তিনি ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করেন।

আব্দুল খালেক মিয়ার বাসায় গিয়েও কোম্পানিটির ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও কোম্পানি সেক্রেটারি ও হেড অব এইচআর এডমিন চৌধুরী এহসানুল হকের লোকজন তাকে ইস্তফা দিতে চাপ প্রয়োগ করেন বলে আইডিআরএকে লেখা চিঠিতে উল্লেখ করেন আব্দুল খালেক মিয়া।

আব্দুল খালেক মিয়া ইস্তফা না দেয়ায় গত ২০ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে অবসান করে চিঠি ইস্যু করেন ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ।

আব্দুল খালেক মিয়া এর আগে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের নন-লাইফ বিমা খাতে তার দীর্ঘ প্রায় ৩৫ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ খাতের মুখ্য নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ফোরামের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন আব্দুল খালেক মিয়া।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভাইস-চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদের মোবাইল ফোনে কল করা হয়। কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি।

আইডিআরএর প্রতিবেদন: নিয়ম ভেঙে বাকিতে ব্যবসা কন্টিনেন্টাল ইনস্যুরেন্সের

ব্যাংকের নিট মুনাফা ছাড়া উৎসাহ বোনাস বন্ধ

একীভূত ৫ ব্যাংকের গ্রাহকদের অর্থ ফেরত: নির্দেশনা না থাকায় অনিশ্চয়তা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকের টাকা ফেরতে নতুন আশা দিলেন গভর্নর

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন: কোটিপতি হিসাব বাড়ছেই

এক ব্যক্তি ও তিন প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি টাকা জরিমানা

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক উদ্বোধন বৃহস্পতিবার, তোলা যাবে ২ লাখ টাকা

দেশের সবচেয়ে বড় ইসলামি ব্যাংক পেল চূড়ান্ত অনুমোদন

আবারও প্রাইম ব্যাংকের চেয়ারম্যান হলেন তানজিল চৌধুরী

ব্যাংকিং খাতের খারাপ অবস্থার মূলে রাজনীতিকরণ: গভর্নর