ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, শিক্ষার্থীদের মৃত্যু, পুলিশ সদস্যদের মৃত্যু ও থানা পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার পর কয়েক দিন ধরে দেশব্যাপী পুলিশিং কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এমন পরিস্থিতিতে চুরি, ডাকাতি এবং লুটপাটের ঘটনা বেড়ে গেছে। এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাংকের এটিএম বুথ, এজেন্ট পয়েন্ট এবং সিআরএমে টাকার সরবরাহ কমেছে। ঝুঁকি বিবেচনায় অনেক ব্যাংক এলাকাভেদে টাকা সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। তবে গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৫৩৮টি থানায় ফিরেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আজ রোববার থেকে এটিএম বুথে টাকা সরবরাহ বাড়বে বলে জানা গেছে।
গতকাল শনিবার রাজধানীর অধিকাংশ এটিএম বুথই বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। যেসব বুথ খোলা আছে সেগুলোর বেশির ভাগেই টাকা ছিল না। বাধ্য হয়ে একাধিক বুথে ছুটতে দেখা গেছে গ্রাহকদের। টাকা সরবরাহকারী নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ৩০ শতাংশের নিচে নেমেছে। এতে এটিএম এবং এজেন্টগুলোতে নগদ টাকার হাহাকার তৈরি হয়েছে।
অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা এবং অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা বহন করতে পারছে না নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের গাড়ি। যেহেতু নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, রোববার থেকে টাকার সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। ব্যাংকের শাখা এবং এটিএম বুথে পর্যাপ্ত টাকা পাওয়া যাবে।’