জিনিসপত্রের দাম বাড়ার বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) পাঠিয়ে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজন রাজনৈতিক সরকার। আজ সোমবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক সরকারের মোরাল সলিউশন করার সক্ষমতা থাকে। তাদের ভয়েসটা দিতে পারে। তাদের কর্মীরা আছে। তাদের সেটআপ আছে। কিন্তু এই অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে ডিসিকে, ইউএনএকে পাঠিয়ে এগুলো কন্ট্রোল করা ডিফিকাল্ট।
বাজারে চালের দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেট আছে কি না—জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, শুধু সরবরাহ নয়, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ের ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের ওপরও দাম নির্ভর করে। অনেক চাল থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ এক জায়গায় মিলেমিশে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
চলতি ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেট সংশোধনের কাজ আগামী ডিসেম্বরেই শুরু হবে বলে জানান সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, ডিসেম্বরে সংশোধন শেষ করে জানুয়ারিতে পরবর্তী সরকারের জন্য সংশোধিত বাজেট প্রস্তুত করা হবে।
এক দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের ব্যয় নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচন কমিশন বলেছে ব্যয় বাড়বে, তারা বাজেট সংশোধন করছে। তবে তাদের তহবিল আছে, অর্থ মন্ত্রণালয় আছে। তাই নির্বাচনের খরচ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।
সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, বাজেটে নির্বাচন খাতে বরাদ্দ থাকা ৩ হাজার কোটি টাকা বাড়বে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। গণভোটের বিষয়টি নতুন, বাজেট দেওয়ার সময় এটা প্রাক্কলনে ছিল না।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এক দিনে নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখলেও সরকার এটিকে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত মনে করে বলে জানান সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা এক দিনে ভোটের কথা বলেছেন। দুই দিনে কাজটি করা কঠিন। রিটার্নিং কর্মকর্তা থেকে ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার, স্কুল-কলেজের শিক্ষক, সবার অংশগ্রহণ দরকার হয়। এক দিনে করা ভালো। বিশ্বেও অনেক দেশে এভাবে হয়।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলোতে ভোটার তালিকাভুক্তি শুরু হবে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এতে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসগুলোর অতিরিক্ত ব্যয় যুক্ত হতে পারে। কারণ, কর্মকর্তাদের ওভারটাইমসহ বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হবে।
পুলিশের জন্য বডি ক্যামেরা কেনা নিয়ে প্রশ্নে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত দিয়েছি। যে সংস্থার প্রয়োজন, তারা তাদের বরাদ্দ থেকেই কিনবে। কত সংখ্যায় দেবে, সেটা ঠিক করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসি শুধু জানিয়ে দেবে কোথায় ক্যামেরা লাগবে।’