আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পর্ষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২৩ জুন। ওই বৈঠকে বাংলাদেশের চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনার প্রতিবেদন উত্থাপন করা হবে। অনুমোদন মিললে বাংলাদেশ একসঙ্গে ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ পাবে, যার পরিমাণ প্রায় ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার।
অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চলমান ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় এ দুই কিস্তির অর্থ ছাড় নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা চলছিল। মূল বাধা ছিল, মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা। আইএমএফ তা জোরালোভাবে দাবি করলেও সরকার শুরুতে গড়িমসি করে।
এপ্রিলে ঢাকায় সফর করে আইএমএফের মিশন দল বিষয়টি যাচাই করে। এরপর ওয়াশিংটনে ২১-২৬ এপ্রিল বসন্তকালীন বৈঠকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আলোচিত হয়। কিন্তু চূড়ান্ত সমঝোতা আসে গত ১২ মে ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে।
এরপর ১৪ মে আইএমএফ জানায়, বাংলাদেশ বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করেছে এবং জুন মাসেই অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নির্বাহী পর্ষদের বিবেচনায় আসবে।