রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন মোকাম ও আড়তে আসতে শুরু করেছে বোরো মৌসুমের নতুন চাল। এতে পাইকারি চালের দাম কিছুটা কমেছে। তবে এর প্রভাব তেমন একটা নেই খুচরা বাজারে।
দেশের উত্তরাঞ্চলের নওগাঁ জেলার চালকল মালিকরা জানিয়েছেন, ক’দিন আগেও মানভেদে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা মিনিকেট চালের দাম ছিল দুই হাজার ৭০০ থেকে দুই হাজার ৮০০ টাকা। বর্তমানে তা দুই হাজার ৪০০ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সে হিসেবে বস্তাপ্রতি দাম কমেছে ৩০০ টাকা। লতা নামে পরিচিত বিআর-২৮ চাল আগে প্রতি বস্তা দুই হাজার ৩০০ থেকে দুই হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৮০০ থেকে এক হাজার ৯০০ টাকা। বস্তা প্রতি দাম কমেছে ৫০০ টাকা।
নওগাঁ জেলা ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরদ বরণ সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ বছর বোরোর ফলন গত বছরের চেয়ে অনেক ভালো হয়েছে। বাজারে ধানের দামও কিছুটা কমেছে। আগে প্রতিমণ মিনিকেট ধানের দাম ছিল এক হাজার এক হাজার ১০০ টাকা, যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকায়। মূলত ধানের দাম কম থাকায় চালের দামও কিছুটা কমেছে। তবে বাজারে চালের দাম আর কমার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান তিনি।
পাইকারি বাজারে চালের দামও কমলেও এখন পর্যন্ত খুচরায় এর তেমন প্রভাব নেই। রাষ্ট্রয়াত্ব বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, গত বুধবার কেজিপ্রতি সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৫৭ থেকে ৬৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা। মাঝারি মানের চাল ৫২ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৫২ থেকে ৫৮ টাকা।
রামপুরা বাজারে নিয়মিত কেনাকাটা করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শফিক হাসান। তিনি বলেন, এ বছর রেকর্ড পরিমাণ বোরো ধান উৎপাদিত হয়েছে। নতুন চাল বাজারেও এসেছে। তারপরও চালের দাম কমছে না।