হোম > অর্থনীতি

তৈরি পোশাকশিল্প: মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে সভাশেষ সিদ্ধান্ত ছাড়াই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

তৈরি পোশাক কারখানায় কর্মরত শ্রমিক। ফাইল ছবি

বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির পরিমাণ নিয়ে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার দুই পক্ষের বৈঠক কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। নিম্নতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত পোশাকশ্রমিকদের বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট আগের ৫ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত ২ শতাংশ বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করতে চান মালিকেরা। তবে শ্রমিকেরা চান ১২ শতাংশ।

ন্যূনতম মজুরি পুনর্মূল্যায়ন ও বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় এ বিষয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির চতুর্থ বৈঠক হয় গতকাল। সচিবালয়ে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মালিক ও শ্রমিকপক্ষের ছয়জন প্রতিনিধি।

বৈঠক সূত্র জানায়, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা বৈঠকে মালিক ও শ্রমিকপক্ষ নিজেদের দাবির পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে। মালিকপক্ষ ৭ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দিতে রাজি আছে জানালে শ্রমিকপক্ষ আগের অবস্থান থেকে সরে এসে ১২ শতাংশ দাবি করে। প্রথমে শ্রমিকপক্ষ অতিরিক্ত ১০ শতাংশসহ মোট ১৫ শতাংশ বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছিল। কমিটির তৃতীয় বৈঠকে মালিকপক্ষ নিয়মিত ৫ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত ১ শতাংশসহ মোট ৬ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দেয়। তবে গতকালের বৈঠকে শেষ পর্যন্ত বার্ষিক মজুরি কত শতাংশ বাড়বে, সে বিষয়ে সমঝোতা না হওয়ায় আগামী সপ্তাহে শ্রমসচিবের সভাপতিত্বে আবার কমিটির বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নিট পোশাকশিল্পমালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, তৈরি পোশাকশিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এ এন এম সাইফুদ্দিন ও বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহাম্মাদ এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুববিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল আখতার ও বাংলাদেশ শ্রমিককল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি কবির আহম্মেদ।

ফজলে শামীম এহসান বলেন, গত বছর নিম্নতম মজুরি ৫৬ শতাংশ বেড়েছে। ফলে নতুন করে আবার ১২ শতাংশ মজুরি বাড়ানো কারখানাগুলোর পক্ষে কঠিন। শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি যে দাবি করেছেন, সেই দাবি ২০-২৫ শতাংশ কারখানা পূরণ করতে পারলেও বাকিরা পারবে না। ধীরে ধীরে কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণে ৭ শতাংশ বার্ষিক মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বাবুল আখতার বলেন, ‘মজুরি বাড়ানোর প্রসঙ্গ এলেই মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় দেখায়। অথচ বছর বছর পোশাক রপ্তানি বাড়ছে। আবার প্রতিবছরই কিছু নতুন কারখানা হয়, আবার কিছু কারখানা বন্ধও হয়—পোশাক খাতে এটা নিয়মিত চিত্র। ক্রয়াদেশ পেতে মালিকেরা চুপি চুপি কম দামে ক্রয়াদেশ নেন। ফলে আমরা বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করেছি।’

গত ৪ নভেম্বর কমিটির দ্বিতীয় সভায় শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধিরা নিম্নতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত বার্ষিক মজুরি ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব দেন।

আরও কমেছে পেঁয়াজ আলু ও সবজির দাম

জাতীয় নির্বাচনের প্রার্থীদের ই-রিটার্ন দাখিলে এনবিআরের হেল্প ডেস্ক

আকাশপথে পণ্য পরিবহনে অফডক চান ব্যবসায়ীরা

আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের জন্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

বিএসআরএম স্টিলসের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

রোজার আগে কমেছে খেজুরের আমদানি শুল্ক

২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে ডলার

মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়ল

রাজধানীতে শুরু হয়েছে চার দিনের আবাসন মেলা

যুব কর্মসংস্থানে ১৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক