গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় উড়োজাহাজের অনলাইন টিকিট বুকিংয়ের প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইট এক্সপার্টের দুই কর্মকর্তাকে দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হক এ নির্দেশ দেন।
এই দুজন হলেন ফ্লাইট এক্সপার্টের চিফ কমার্শিয়াল অফিসার (সিসিও) সাঈদ আহমেদ ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) এ কে এম সাদাত হোসেন। আজ দুজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাঁদের সাত দিন করে দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ৩ আগস্ট ফ্লাইট এক্সপার্টের হেড অব ফিন্যান্স সাকিব হোসেন ও এই দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২ আগস্ট তাঁদের আটক করে পুলিশ। সেদিন রাতে বিপুল সরকার নামের এক গ্রাহক মতিঝিল থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি করেন। বাকি দুই আসামি হলেন ফ্লাইট এক্সপার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম ও তাঁর বাবা এম এ রাশিদ।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ফ্লাইট এক্সপার্ট দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইনসের টিকিট বুকিং, হোটেল রিজারভেশন, ট্যুর প্যাকেজ ও ভিসা প্রক্রিয়াকরণসহ বিভিন্ন সেবা দিত। বাদী ৪ কোটি ৭৯ হাজার টাকা উড়োজাহাজ ভাড়া ও বিদেশে হোটেল বুকিংয়ের জন্য ফ্লাইট এক্সপার্টকে অগ্রিম পরিশোধ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ফ্লাইট এক্সপার্ট। তাঁর টাকা ফেরত না দিয়ে এবং হোটেল বুকিং ও উড়োজাহাজের টিকিট না দিয়ে ফ্লাইট এক্সপার্টের মালিক ও কর্মকর্তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ফ্লাইট এক্সপার্টের কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় টিকিট বিক্রেতা এজেন্সি ও হাজারো গ্রাহক ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের জন্য অর্থ পরিশোধ করেছিলেন।
২০১৭ সালে ফ্লাইট এক্সপার্টের কার্যক্রম শুরু হয়। কম খরচে সহজে টিকিট বুকিংয়ের সুবিধার কারণে প্ল্যাটফর্মটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।